১০ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বাগদা গণধর্ষণ কাণ্ড: ‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমা চান’, তীব্র নিন্দা কুণাল ঘোষের

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: August 27, 2022 5:25 pm|    Updated: August 27, 2022 6:04 pm

Bagda Rape incident: Home ministry should apologize, Kunal Ghosh reacts strongly | Sangbad Pratidin

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে বাগদায় (Bagda) গৃহবধূকে ধর্ষণকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। নানা মহলে নিন্দা, প্রতিবাদের ঝড়। এই অবস্থায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সকলে। আর তা সরাসরি বিএসএফ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনস্থ হওয়ায় তার দায় বর্তেছে অমিত শাহর উপরও। এমনই বলছে শাসকদল তৃণমূল। এবার এই ঘটনায় তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বললেন, ”রক্ষক ভক্ষক হয়ে উঠছে। যে নিরাপত্তার কাজ করার কথা, তার বদলে বিজেপির কাজ করতে গিয়ে দেশের নিরপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমা চান।”

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) কাজের সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তা নিয়ে বিস্তর তর্কবিতর্ক হয়েছিল। বাগদার ঘটনার পর কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুললেন, ”এই কারণেই কি প্রধানমন্ত্রী বিএসএফের কাজের সীমা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করেছেন?” মোদি-শাহকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, ”তৃণমূল (TMC)বিএসএফের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে যেভাবে এদের ব্যাবহার করছেন তাতে রক্ষক ভক্ষক হয়ে উঠছে। যে নিরাপত্তার কাজ করার কথা তার বদলে বিজেপির কাজ করতে গিয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক মা তার শিশুকে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে সীমান্তে আটকাচ্ছে বিএসএফ। আর শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে মাকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে। একটা ক্ষমা কেন আসছে না, দুঃখপ্রকাশ কেন আসছে না?”

[আরও পড়ুন: বিএসএফের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ইস্যুতে পথে নামছে তৃণমূল, রবিবার বাগদায় প্রতিবাদ মিছিল

বিএসএফের জওয়ানদের ভূমিকা নিয়ে তাঁর সমালোচনা, ”যারা দক্ষ, তাদের তো সীমান্তে রাখাই হচ্ছে না। এসব বাহিনীতে তুলনামূলক কেউ দক্ষ বা তার পরের ধাপ থাকে। ভাল যারা কাজ করেন, তাদের তুলে এনে বিজেপির চার আনার নেতাদের পাহারা দেওয়ার কাজে লাগানো হচ্ছে। বাকি অংশ যারা সীমান্তে রয়েছেন, তারা দক্ষতার দিকে কতটা, সেটাও নিশ্চয়ই সমীক্ষা করে দেখা উচিত।”

[আরও পড়ুন: বিহারের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে নোটের পাহাড়! উদ্ধার ঘুষের কোটি-কোটি টাকা]

এই ইস্যুতে গরু পাচার নিয়েও বিজেপিকে বিঁধলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, ”বিজেপির বড় বড় কথা কয়লা গরু পাচার। এই সীমান্তের দায়িত্বে কে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কী করছেন তিনি? গরুর তো ডানা নেই। কীভাবে যাবে? গরু পাচার রোখার কথা বিএসএফের। আর ধর্ষণে নাম আসছে বিএসএফেরই।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে