Advertisement
Advertisement

Breaking News

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়

অব্যাহত মিল্লি আল আমিন কলেজের জট, বৈঠক বানচালে ক্ষুব্ধ বৈশাখী

চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈশাখী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, আপনার নির্দেশ অমান্য হচ্ছে।"

Baisakhi Banerjee opens up on Al-Amin College
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 19, 2020 10:06 pm
  • Updated:May 20, 2023 2:48 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: মিল্লি আল আমিন কলেজের অচলাবস্থা বজায় থাকল। বুধবার বিকাশ ভবনে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে এই কলেজ নিয়ে জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা ভেস্তে যায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে পরিচালন সমিতির কর্তাদের বিরুদ্ধে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিকাশ ভবনে পৌঁছনোর পর তাঁরা চলে যান। চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈশাখী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, আপনার নির্দেশ অমান্য হচ্ছে। এইভাবে কলেজ চালানো যায় না। তার চেয়ে আমাকে অব্যাহতি দিন।”

জট কাটা দূর অস্ত আরও বিগড়ে গিয়েছে পরিস্থিতি। কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যরা বেরিয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন বৈশাখী। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা পরিচালন সমিতির সদস্যদের ফোন করে ডাকলেও তাঁরা ফেরেননি। বাধ্য হয়ে বিকাশ ভবন ছাড়েন অধ্যক্ষ। বহু দিন ধরেই সমস্যা চলছে মিল্লি আল আমিন কলেজে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতে দিতে নারাজ কলেজের অ্যাডহক পরিচালন সমিতি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নিজে বার বার বার্তা দিয়েছেন, তিনি বৈশাখীর পাশে আছেন। তাঁকে মেনে নিয়েই কলেজ চালাতে হবে পরিচালন সমিতিকে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। পরিচালন সমিতি তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলে বৈশাখী আগেই অভিযোগ করেছেন। সমস্যার সমাধান খুঁজতে এ দিন বৈঠক ডাকা হয় বিকাশ ভবনে। দু’পক্ষকে মুখোমুখি বসিয়ে আলোচনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগেই ভেস্তে গেল বৈঠক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আসলের সঙ্গে মিলল না মাধ্যমিকের ভাইরাল প্রশ্ন, স্বস্তিতে পর্ষদ]

বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈশাখীর আগেই এ দিন পৌঁছেছিলেন পরিচালন সমিতির সদস্যরা। নির্দিষ্ট ঘরে তিনি ঢুকতেই পরিচালন সমিতির সদস্যরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা তাঁদের ফোন করে ফিরতে বলেন। কিন্তু তাঁরা জানিয়ে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে থাকলে তাঁরা ফিরবেন না। এমনকি যে খাতায় বৈশাখী স্বাক্ষর করবেন সেখানেও তাঁরা সই করবেন না বলে ওই কর্তাকে জানান। আদৌ সমস্যার সমাধানের ইচ্ছা দফতরের রয়েছে কি না প্রশ্ন তোলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। নিজের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ লিখে রেখে বিকাশ ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান বৈশাখী। তিনি পরে জানিয়েছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না কেন আমাকে বৈঠকে ডাকা হল। সমস্যার সমাধান করার ইচ্ছা ওঁদের আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে সবকিছু জানাব।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ