Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bratya Basu

‘এঁরা শিক্ষক নন, BJP’র ক্যাডার’, বিকাশ ভবনের সামনে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’র ঘটনায় তোপ Bratya Basu’র

আর কী বললেন ব্রাত্য বসু?

Bengal education minister slams protesting teachers as BJP cadre | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 25, 2021 1:03 pm
  • Updated:August 25, 2021 1:54 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) চত্বর। প্রকাশ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৪ শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অনৈতিকভাবে দূরে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষিকাদের। এছাড়া একাধিক দাবিও ছিল তাঁদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার ফেসবুকে মন্ত্রী তুলে ধরলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে। বিঁধলেন আন্দোলনকারীদেরও। 

বিকাশ ভবনের বাইরে মোতায়েন পুলিশ।

ফেসবুকে ব্রাত্য বসু ঠিক কী লিখেছেন?

Advertisement
  • বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিক-এর বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু
    মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়।

[আরও পড়ুন: বহরমপুরে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল TMC কর্মীর বাড়ির টিনের চাল, গুরুতর জখম বৃদ্ধা মা]

  • সহায়ক-সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও বাৎসরিক ৩%বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে।
  • প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে।
  • যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লক্ষ টাকা এককালীন অবসর ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধা দানের বিষয়ে অর্থদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
  • ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য ১/২/২১ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • এছাড়াও প্রত্যেকের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, কবে দেখা মিলবে বৃষ্টির?]

এই বিবরণ তুলে ধরার পরই আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের তুলোধোনা করলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর কথায়, “এরপরও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, বিজেপির ক্যাডার।” উল্লেখ্য, চাকরির স্থায়ীকরণ-সহ একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে তো কখনও নবান্নে আবার কখনও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। গ্রেপ্তারও হয়েছেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। 

Advertisement

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ