Advertisement
Advertisement
Tajpur port

তাজপুর বন্দর হাতছাড়া! এখনও অপেক্ষায় আদানিরা

তাজপুরে বন্দরের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

Bengal govt at sea over Tajpur port? Adani awaits official word | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 25, 2023 7:15 pm
  • Updated:November 25, 2023 7:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজপুর বন্দর নির্মাণে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে সেটা ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অথচ আদানিরা এ নিয়ে এখনও অথৈ জলে। সংস্থার কর্তারা বলছেন, সংবাদমাধ্যম দেখে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার তাজপুর বন্দরের (Tajpur Port) জন্য নতুন টেন্ডার ডাকছে। কিন্তু সরকারিভাবে রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।

তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। গতবছর তাঁর সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেয়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতেই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো আদানি গোষ্ঠীও রাজ্য সরকারকে তাঁদের বন্দরে কাজ করার ইচ্ছাপত্র বা লেটার অফ ইনটেন্ট জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায় আদানিরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে দশ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১৩০ শতাংশ]

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদানি পোর্টস এবং স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন (APSEZ) তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের বরাত পায়। কিন্তু বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, ওই বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডার ডাকা হবে। এখন আদানি গোষ্ঠী অন্ধকারে। APSEZ-এর এক শীর্ষকর্তার বক্তব্য, “আমরা সংবাদমাধ্যমে সবটাই দেখছি। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করিনি কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সরকারিভাবে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ওড়িশা থেকে উদ্ধার বাংলার নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের দেহ, সন্তানহারা আরামবাগের পরিবার]

আদানির সংস্থার ওই শীর্ষকর্তা এও জানিয়েছেন যে, রাজ্য এখনও তাজপুর বন্দরে তাঁদের কাজ করার অনুমতিপত্রও দেয়নি তাদের। ফলে কাজও শুরু করা যায়নি। চুক্তি বাতিল হলে হয়তো আর আদৌ কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে কি আদানিরা নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার তুলতে পারবে? সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে তারা অথৈ জলে। আপাতত সরকারের তরফে যোগাযোগ না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ