Advertisement
Advertisement
অপর্ণা সেন সব্যসাচী চক্রবর্তী

নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদককে, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব বিশিষ্টজনেরা

'সাংবাদিকের গ্রেপ্তারি গণতন্ত্রের পক্ষে অশনিসংকেত', বলছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা।

Bengal intellectuals slams government over journalist arrest
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 2, 2020 10:33 am
  • Updated:July 2, 2020 1:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) পর অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদকের হয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা। পুলিশ হেফাজতে থাকা সফিকুল ইসলামের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে সরব অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty), অপর্ণা সেন (Aparna Sen), কৌশিক সেন (Kaushik Sen), পরিচালক অরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়রা। তাঁরা বলছেন, সফিকুল এবং আরামবাগ টিভির আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সংবিধান ও গণতন্ত্রের পক্ষে অশনিসংকেত।

উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ‘আরামবাগ টিভির’ সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ‘আরামবাগ টিভি’র আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। যদিও ‘আরামবাগ টিভি’র আধিকারিকদের দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুরনো রাগ পুলিশের। এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির কোনও অস্তিত্বই নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়। যদিও আদালত তাঁর গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুরনো রাগ মেটাতে রবিবার ‘ভুয়ো’ মামলা সাজিয়ে সফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের জমবে আড্ডা, করোনা আবহে আজ থেকেই খুলে যাচ্ছে কফি হাউস]

এরপরই সফিকুলের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই গ্রেপ্তারিকে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। রাজ্যপালের সুর ধরেই এবার সরব হলেন বিশিষ্টজনেরাও। সব্যসাচী চক্রবর্তী, অপর্ণা সেনরা এক ডিজিটাল বার্তায় বললেন,”দরজা, জানালার তালা ভেঙে, আগাম নোটিশ বা পরোয়ানা ছাড়াই সফিকুল, তাঁর স্ত্রী এবং দুই শিশুসন্তান পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ বা খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ নয়, শুধুমাত্র সরকারের কাজের সমালোচনার জন্য পুলিশ যে আচরণ করেছে সংবিধান ও গণতন্ত্রের পক্ষে অশনিসংকেত। সফিকুল, তাঁর স্ত্রী এবং আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ