শিল্পের অনুকূল পরিবেশ, আদর্শ পরিকাঠামো। দেশে হোক বা বিদেশে – মুখ্যমন্ত্রী বারবার শিল্পমহলের কাছে বাংলার শিল্পবান্ধব পরিবেশের কথা তুলে ধরেছেন। তবে শুধু কথায় নয়, এ রাজ্য যে শিল্প স্থাপনে কতটা আগ্রহী, তা বোঝাতে প্রতি বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরও ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কার্যত চাঁদের হাট। অংশ নিয়েছেন ৪০ দেশের দুশোর বেশি প্রতিনিধি। রয়েছেন মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালরা। লক্ষ্য, বাংলার শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ। বাণিজ্য সম্মেলনের খুঁটিনাটি খবর:
বিকেল ৪.৩০: ‘বাংলা আপনাদেরই গৃহ, এখানে আসুন, বিনিয়োগ করুন।’ প্রায় একঘণ্টার ভাষণের সমাপ্তিতে এই আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৪.২১: আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
বিকেল ৪.১০: বাংলার শিল্পমহলে অনুঘটকের কাজ করতে চলেছে দেউচা-পাচামি কয়লাখনি প্রকল্প। পরিকাঠামো তৈরি, চাইলে আগামিকাল থেকেই কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বড় খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার কাজও হবে।
দুপুর ৩.৫৯: বিশ্বের শিল্পপতিদের কাছে বাংলার শিল্পবান্ধব পরিবেশের ছবি আরও একবার তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”এখন আর লোডশেডিং হয় না। ধর্মঘট হয় না বাংলা, ফিরেছে কর্মসংস্কৃতি।”
দুপুর ৩.৫৫: সম্মেলনের তাৎপর্য বলতে গিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিলেন তিনি। বললেন, ”অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কী হবে এই সম্মেলন করে। কিন্তু আমাদের দেখাদেখি অন্য সব রাজ্যও এ ধরনের সম্মেলন করছেন। আর তাছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্মেলন জরুরি।”
দুপুর ৩.৫১: ”নারীর ক্ষমতায়নে শীর্ষে বাংলা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পেও এক নম্বরে। পথ দেখাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, শিক্ষাশ্রী।” বিনিয়োগ টানতে সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলি আরও একবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন বিশ্বমঞ্চে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প পুরস্কৃত হওয়া, বললেন দুয়ারে সরকার পরিষেবার কথা।
দুপুর ৩.৪৩: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই তাঁর রসিকতা, ”মুকেশ তো সবই বলে দিল, আমি আর কী বলব?” বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানালেন আম্বানি পরিবার, হেমন্ত সোরেন, ভুটানের মন্ত্রীকে। বিনিয়োগকারীদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর।
দুপুর ৩.৩৫: বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগের ঘোষণা আম্বানির। জোর দিলেন মোবাইল নেটওয়ার্ক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষেত্র। তৈরি হবে এআই ডেটা সেন্টার। জামদানি, মুর্শিদাবাদ, বিষ্ণুপুরী সিল্ককে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মুকেশ আম্বানির। কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের আর্থিক সাহায্য।
দুপুর ৩.২৯: মমতা ‘দিদি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম্বানি। তাঁর নামের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে বললেন, অক্লান্ত নেত্রী তিনি।
দুপুর ২.২৩: সম্মেলনের শুরুতেই মা কালী থেকে রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্কিমচন্দ্র, হেমন্ত, সত্য়জিৎ রায় – বাংলার মনীষীদের প্রতি প্রণাম জানালেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির। শিল্পক্ষেত্রে বাংলায় নবজাগরণ ঘটেছে বলে মন্তব্য তাঁর। বললেন, ”বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলার পুনরুত্থান আটকাতে পারবে না।”
দুপুর ৩.১৬: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন জিন্দল গ্রুপের সিএমডি সজ্জন জিন্দাল। জানালেন, বাংলার মতো শিল্পবান্ধব পরিবেশ অন্য রাজ্যে পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা তাঁর।
দুপুর ৩.০৮: গত এক বছর ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রে একাধিক বিনিয়োগ করেছেন। তাতে রাজ্য সরকারের তরফে দারুণ সাহায্য মিলেছে বলে প্রশংসা করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তাঁর আহ্বান, ”সরকার খুব সাহায্য করে, আপনারা নিশ্চিন্তে এখানে বিনিয়োগ করুন।”
দুপুর ৩.০০: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে হাজির সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এত বড় মঞ্চে ডাক পেয়ে অভিভূত বলে জানালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বাংলার শিল্প মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের।
২.৫০: বক্তব্য রাখছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। বাংলা-ঝাড়খণ্ডের ভূপ্রকৃতিগত মিলের কথা উল্লেখ করে জানালেন, ঝাড়খণ্ডে প্রচুর খনিজ সম্পদ আছে।
২.৪৫: পরিবেশবান্ধব শক্তি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাংলার সঙ্গে যৌথভাবে শিল্পবিকাশে কাজ করতে আগ্রহী ভুটান। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে ঘোষণা ভুটানের মন্ত্রীর।
২.৪০: বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ, দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। হোটেল ব্যবসায় ১২০০ কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা অম্বুজা-নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়ার। তৈরি হবে নেওটিয়া গ্রুপের আরও পাঁচ হাসপাতাল। গল্ফ টাউনশিপে বিনিয়োগের আশ্বাস।
দুুপুর ২.৩০: বাংলাকে শীর্ষে পৌঁছে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কর্মোদ্যোগের প্রশংসা শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়ার।
দুপুর ২.২৬: ‘গ্লোবাল হাব ফর আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স’ হবে কলকাতায়। গোটা বিশ্বতে রেকি করে বেছে নেওয়া হয় কলকাতাকে। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বড় খবর শোনালেন সঞ্জীব পুরী। বললেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রগেসিভ পলিসি’তে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্যে।”
দুপুর ২.১৫: সম্মেলনের প্রথম বক্তা আইটিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী। বাংলার বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। বললেন, ”লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী-সহ নানা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যকে এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন যে আমরা ভরসা পাচ্ছি, এই মঞ্চ থেকে আগামী দিন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।”
দুপুর ২.১০: মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শুরু হয়ে গেল এবছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। মঞ্চে হাজির ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
দুপুর ২.০৮: বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ প্রস্তুত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মুকেশ আম্বানি। বিশিষ্টদের সম্মাননা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা।
দুপুর ১.২২: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে শহরে রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। সকলকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর ১২.১০: কনভেনশন সেন্টারে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রর সঙ্গে জার্মানির প্রতিনিধিরা। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন ছবি।
Thank you madam @MamataOfficial for the kind invitation. Looking forward to the @BengalSummit for the next two days with our German delegation led by the deputy head of the mission from our Embassy. #BGBS2025 @IndoGerman @GermanyinIndia @DrAmitMitra pic.twitter.com/B3XLaYBW23
— German Consulate Kolkata 🇪🇺🇩🇪🇺🇦 (@Germany_Kolkata) February 5, 2025
বেলা ১১.৫৮: বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.