গৌতম ব্রহ্ম: এমএসএমই-তে বাংলা ভারতের এক নম্বর রাজ্য। এখানে ৬৬০টির বেশি এমএসএমই ক্লাস্টার রয়েছে। সাতটি নতুন মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যে চর্মশিল্প ক্ষেত্রে আরও ৪ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অতি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির পণ্য সরবরাহে সামিল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করল ‘ইন্ডিয়া পোস্ট’।
বৃহস্পতিবার বিজিবিএসে এমএসএমই ও টেক্সটাইলস সংক্রান্ত ক্ষেত্রভিত্তিক সেশনে এ কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল (সিপিএমজি) অশোক কুমার। তিনি বলেন, “সারা দেশে ইন্ডিয়া পোস্ট–এর ১.৬৫ লক্ষ পোস্ট অফিস রয়েছে। এমন কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত নেই, যেখানে পোস্ট অফিস নেই। এমএসএমই সংস্থাগুলিকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। তারা আমাদের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পার্সেল পাঠাতে পারে।”
অন্যদিকে, কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস-এর ভাইস চেয়ারম্যান রমেজ জুনেজা বলেন, “এখন বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ৫০০ ট্যানারিতে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। আগামী দু’বছরে আরও ৪৫০টি ট্যানারি সেখানে কাজ শুরু করবে। যার ফলে ৪ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।” মেহুল মোহাঙ্কা বলেন, “এমএসএমই ক্ষেত্রে ৯০ লক্ষ সংস্থা ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এর মধ্যে মহিলা মালিকানাধীন সংস্থা রয়েছে ২৯ লক্ষের বেশি। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের ৩৫ শতাংশের বেশি শাড়ির উৎপাদন বাংলাতেই হয়। ২০২৩-২৪ সালে আমাদের স্টেট জিএসডিপি-র ৮১ শতাংশ এসেছে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে।” এদিন উৎপাদন ক্ষেত্রে ৭টি মউ সাক্ষরিত হয়। নতুন করে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সাতটি টেক্সটাইল ইউনিট। উত্তরবঙ্গে ১৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে তিনটি শিল্প পার্ক গড়ছে রামনিবাস গ্রুপ। এক্ষেত্রে ১৫,৫০০ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.