Advertisement
Advertisement
শতাব্দী রায়

সারদার ২৯ লক্ষ টাকা ফেরাতে চান, ইডি-কে চিঠি শতাব্দীর

৭ আগস্ট সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করবেন শতাব্দী।

Birbhum TMC MP Shatabdi Roy agrees to return Saradha's money
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 30, 2019 2:20 pm
  • Updated:July 30, 2019 2:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সারদা কাণ্ডে এবার মিঠুন চক্রবর্তীর পথেই হাঁটলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। ইডিকে চিঠি মারফত তাঁর প্রস্তাব, সারদা থেকে পাওয়া ২৯ লক্ষ টাকা তিনি ফিরিয়ে দিতে চান। যেভাবে বারবার তাঁকে এই ইস্যুতে জেরা করার জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে তিনবারের সাংসদ। তাই টাকা ফেরানোর প্রস্তাব রেখেছেন তিনি ইডির কাছে। 

আগামী ৭ আগস্ট সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ায় পরই তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন শতাব্দী

Advertisement

জুন মাসে দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠকে কাটমানি প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বলেছিলেন, “কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকেন তবে তা ফেরত দিয়ে দিন, নাহলে কিন্তু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে।” তারপর একুশের সমাবেশ থেকেও দলনেত্রী তোপ দাগেন, শতাব্দীকে বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি। যা রীতিমতো সাংসদের কাছে অস্তস্তিকর। এবার মিঠুন চক্রবর্তীর পথে হেঁটেই সারদার কাছ থেকে নেওয়া যাবতীয় টাকা এবার কড়ায় গণ্ডায় ফিরিয়ে দিতে চান তিনি। আর সেই মর্মে ইডি দপ্তরে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী। ইডিকে লেখা চিঠিতে শতাব্দী জানিয়েছেন, সারদার সঙ্গে চুক্তিবাবদ যে ২৯ লক্ষ টাকা তিনি পেয়েছিলেন, তা অবিলম্বেই ফেরত দিতে চান। তা কবে ফেরত দেবেন সেই টাকা? এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ৭ আগস্ট সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ায় পরই তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।      

[আরও পড়ুন: একমাসে তিনবার প্রাণনাশের হুমকি, পুলিশের দ্বারস্থ উদিত নারায়ণ]

প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডে আগেই নোটিস পাঠিয়ে শতাব্দী রায়কে তলব করা হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এড়িয়ে যান তিনি। এর আগেও একাধিকবার ইডির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গরহাজির ছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে এবার শতাব্দী দলে নিজের অবস্থান আরও স্বচ্ছ করে তুলতে এবং দলকে বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা করতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

[আরও পড়ুন: পাকস্থলী ও লিভারের মাঝে বেড়ে উঠেছিল সন্তান! বিরল অস্ত্রোপচারে রক্ষা পেল মা]

উল্লেখ্য, সারদার অধীনে একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী রায়। সূত্রের খবর, সেই সময়েই সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে শতাব্দীর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। তদন্তকারী অফিসাররা সেই সূত্রেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে একাধিকবার শতাব্দী সেই নির্দেশ অমান্য করেছেন।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement