রূপায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়: গত কয়েক বছরে একাধিকবার দলিত ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার রাজ্যে এসে এই ইস্যুকেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা চাল হিসাবে ব্যবহার করল কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সুর চড়িয়ে দাবি করল, এরাজ্যে সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি দলিতদেরও অবস্থা শোচনীয়। রাজ্যে কার্যত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে শুক্রবার অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র বিজয় সোনকার৷
[ভাড়া কমছে অ্যাপ ক্যাবের, পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি ওলা-উবের কর্তৃপক্ষের]
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, নিরাপত্তার কথা বললেও রাজ্যে দলিতদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার৷ তিনি জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে৷ যদিও শাসক দলের মুখপাত্রের এই দলিত সম্পর্কিত মন্তব্যের পালটা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে বিরোধী পক্ষ থেকে৷ তাঁদের কটাক্ষ, গত কয়েক বছরে দলিতদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের ঘটনায় বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য৷ এরপরেও কেমন ভাবে শাসকের মুখপাত্র পশ্চিমবঙ্গের সমালোচনা করছেন? যদিও বিরোধীদের সমালোচনা নিয়ে তেমন একটা মুখ খুলতে চাননি বিজয় সোনকার৷ তিনি জানিয়েছেন, যেখানেই দলিতদের উপর অত্যাচার হবে বা আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে সেখানেই সরকারকে কঠোর হওয়া প্রয়োজন৷ সেই রাজ্য যদি বিজেপি শাসিত হয় তাও একই বিষয় প্রযোজ্য বলে এই কেন্দ্রীয় নেতার দাবি৷
[হস্টেলের দাবিতে অনশনে পড়ুয়ারা, অচলাবস্থা অব্যাহত মেডিক্যাল কলেজে]
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের পরে আগামী ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের ‘কৃষকবন্ধু’ ভাবমূর্তি প্রচারের জন্যই তাঁর এই প্রচেষ্টা বলে জানা গিয়েছে৷ পাশাপাশি এর পিছনে আরও একটি উদ্দেশ্য দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে ভাল ফল করেছে বিজেপি। তারপরই পুরুলিয়াতে জনসভা করে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি৷ এবার মেদিনীপুরকে কেন্দ্র করে মোদীর সভা জঙ্গল মহলে আরও প্রভাব ফেলতে পারবে বলে বিজেপি নেতৃত্বের আশা। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় নেতা বিজয় শোনকার যেভাবে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷