Advertisement
Advertisement
BJP

KMC Election 2021: অশান্তির অভিযোগ, কলকাতা পুরভোটে পুনর্নির্বাচনের দাবি বিজেপির, রাজভবনে বিধায়করা

ভোটে অশান্তির অভিযোগে জেলাতেও বিক্ষোভ দেখাল গেরুয়া শিবির।

BJP demands repoll of Kolkata Municipal Election, MLAs meet Governor at Rajbhaban
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 19, 2021 7:32 pm
  • Updated:December 19, 2021 8:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু, একটা বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া দিনভর কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) তেমন কোনও বড় গন্ডগোলের খবর মেলেনি। তবে বিরোধী দল বিজেপি (BJP) তার মধ্যেও মনে করছে, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন যথেষ্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়নি। দিনভর তাঁরা একাধিক জায়গা থেকে রাজনৈতিক অশান্তি, প্রার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। এবার সন্ধের পর কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচনের (Repoll) দাবি তুলল গেরুয়া শিবির। এই দাবি নিয়ে তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে। বিকেল থেকে এ নিয়ে বিজেপির আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। পূর্বপরিকল্পনামতো নানা জায়গায় পথ অবরোধ নেমেছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা। রবিবার সন্ধেবেলা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্ব রাজভবনে পৌঁছয় বিজেপির প্রতিনিধিদল।

Advertisement

কলকাতার পুরভোটকে সামনে রেখে শহরে অশান্তি বাধাতে পারে বিজেপি, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শনিবারই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন যে কোনওরকম অশান্তি হলে বিজেপি রুখে দাঁড়াবে, প্রয়োজনে জেলা থেকেও কলকাতার পথে নেমে প্রতিবাদ জানানো হবে। রবিবার বিকেলের পর সেই হুঁশিয়ারি খানিকটা বাস্তবায়িত হতে দেখা গেল। কলকাতায় পথ অবরোধের চেষ্টা করলেন বিজেপি বিধায়করা। আর নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশও পালটা পদক্ষেপ নিল। পার্ক স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের (MLA Hostel) গেট আটকে দেওয়া হয়। আর তা নিয়ে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জেলায় জেলায় পথ অবরোধ করা হয় বিজেপির তরফে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে শুরু হয় পথ অবরোধ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: KMC Election: ‘শান্তিতে ভোট দিয়েছে মানুষ, আমি খুশি’, ভোট দিতে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ]

তবে সন্ধের পর সল্টলেকে (Salt Lake) শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে পুলিশের অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়িতে দলের গোপন বৈঠক চলছে। সেখানে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের বচসা চলে। অভিযোগ, শুভেন্দুকেও বাইরে বেরতে দেওয়া হয়নি।

দীর্ঘক্ষণ পর অবশ্য তাঁর বাড়ির সামনে থেকে পুলিশি প্রহরা সরে যায়। কী কারণে তাঁর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তা স্পষ্ট নয় এখনও। তারপর শুভেন্দু ২০ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে যান, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল ধনকড়ও একাধিক টুইটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

[আরও পড়ুন: ‘টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে বিজেপি’, কলকাতা পুরভোটের দিন ফের বোমা ফাটালেন রূপা]

রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকের পর শুভেন্দু বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ”উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে, কোনও গণতন্ত্র নেই। ২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকি সব জায়গায় রিগিং। অনেক জায়গায় সিসিটিভি অচল ছিল, হিংসার ছবি ধরা পড়েনি।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ