Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘অসমে বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে’, প্রতিনিধিদের আটকানোয় ক্ষুব্ধ মমতা

এটাই বিজেপির ‘বিগিনিং অফ দ্য এন্ড’, দাবি মমতার৷

BJP is completely exposed in Assam, it's begining of their end: CM Mamata
Published by: Saroj Darbar
  • Posted:August 2, 2018 5:12 pm
  • Updated:August 2, 2018 5:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলচর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলকে৷ হেনস্তা করা হয়েছে মহুয়া মৈত্র, মমতাবালা ঠাকুরদের৷ পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর প্রশ্ন, অসমে যদি সব ঠিকই থাকে, তাহলে জনপ্রতিনিধিদের আটকানোর দরকার পড়ল কেন? মমতার দাবি, বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে৷ এটাই বিজেপির ‘বিগিনিং অফ দ্য এন্ড’৷

অসমে বাধার মুখে তৃণমূল, শিলচর বিমানবন্দরে আটকানো হল প্রতিনিধিদের ]

Advertisement

এদিন দিল্লি থেকে রাজ্যে ফেরেন মমতা৷ দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী বলেন, স্বয়ং রাজনাথ সিং বলেছিলেন, কারও হেনস্তা করা হবে না৷ আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ তাহলে কেন এরকমটা করা হল? তাঁর দাবি, তৃণমূল তো লুকিয়ে কিছু করেনি৷ কর্মসূচি আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল৷ তাহলে বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরনোর অনুমতিটুকু দেওয়া হল না কেন? কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে? যদি অসমে সব ঠিকই চলে তাহলে ১৪৪ ধারা করারই বা কী দরকার পড়ল? আর কেনইবা প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হল না? প্রশ্ন মমতার৷ তিনি বলেন, “বিজেপি  প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে৷ ওদের মুখোশ এতদিনে খুলে গিয়েছে৷ পেশীশক্তির প্রদর্শন করে আটকানোর চেষ্টা করেছে৷” বিজেপির পতনের যে শুরু হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বলে দাবি মমতার৷ অসমে প্রতিনিধিদের আটকানোর প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁকেও ধুলাগড়ে যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছিল৷ এদিন মমতা সে অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, আসানসোলে দাঙ্গা হওয়ার পর দিল্লির লোকেরা এসেছিল৷ ১৪৪ ধারা জারি ছিল৷ তা সত্ত্বেও সেই এলাকায় গিয়েছিল দিল্লির প্রতিনিধি দল৷ রাজ্য সরকার তাতে বাধা দেয়নি৷ মমতার দাবি, এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের ফারাক৷ তাঁর বক্তব্য, দেশে যে সুপার এমার্জেন্সি চলছে, তার এর থেকে বড় প্রমাণ আর হয় না৷

Advertisement

অসমে আগুন জ্বালানোর অধিকার নেই তৃণমূলের, বিস্ফোরক দিলীপ ]

এদিকে আজই বাংলায় নাগরিকপঞ্জির দাবিতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপি৷ সেই প্রসঙ্গ উঠতেই মমতা বলেন, এরা কারা? কিছু গুন্ডা অদ্ভুত দাবি করছে৷ তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন, রাজনৈতিক কর্মীদের তিনি কখনও গুন্ডা বলেন না৷ যারা গুন্ডা তারা গুন্ডাই৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, “যাঁরা বাংলায় এনআরসি-র দাবি করছে, তারা একবার হাত দিয়ে দেখুক কী হয়৷”  

শিলচরে আটকে থাকা প্রতিনিধিরা কি তাহলে এখন হোটেলে ফিরে যাবেন? মমতার সাফ জবাব, যাঁরা বাংলায় লড়াই করে তাঁদের সাহস আছে৷ মাছ-ভাত খেতে তো যায়নি যে, পুলিশের দয়ায় হোটেলে থাকবে৷ আপতত বিমানবন্দরেই ধরনায় বসেছেন তৃণমূল নেতারা৷ ফিরহাদ হাকিম পৌঁছালে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলেই জানানো হচ্ছে৷ এর মধ্যেই অসম তৃণমূলের সভাপতি দীপেন পাঠক পদত্যাগ করেছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ