Advertisement
Advertisement
BJP-TMC clash

নিখরচায় এলাকায় মাদক সরবরাহের অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

আক্রান্তই অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করেন, দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।

BJP leader attacked allegedly by TMC accusing to spread drug addiction among youth at Baranagar | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 20, 2023 5:53 pm
  • Updated:August 20, 2023 5:53 pm

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বরানগর (Baranagar) এলাকা। পেশায় গাড়িচালক, সক্রিয় বিজেপি (BJP) নেতা বলে পরিচিত এক ব্যক্তিকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে কুটিঘাট এলাকার এই ঘটনা ঘিরে এখনও উত্তেজনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত শ্যামল দাস কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানায় পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়িচালক শ্যামল দাস বরানগর পুরসভার ৩১নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ সভাপতি। শনিবার রাতে তিনি কাজ সেরে পাড়ার মোড়ে বসেছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁর উপর স্থানীয় কয়েকজন চড়াও হয়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালালে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত (Severe injuries) লাগে। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বরানগর স্টেট হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তখনই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসে’, বিস্ফোরক যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য, সওয়াল CCTV-র পক্ষেও]

রবিবার সকালে শ্যামলকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College) স্থানান্তরিত করা হয়। হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলেই অভিযোগ বিজেপির এবং তার পরিবারের। এ বিষয়ে তাঁর আত্মীয় পূজা অধিকারী বলেন, “শ্যামল দাস বিজেপি করে বলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করাতেই তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। থানায় জানিয়েছি, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে প্রৌঢ়কে খুন! তুমুল চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে]

বিজেপি উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি অরিজিত বক্সি বলেন, “এলাকায় সমাজবিরোধী কাজের প্রতিবাদী মুখ হিসাবে পরিচিত দলের বুথ সভাপতি শ্যামল দাস। সেই কারণেই তাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করেছে। তাঁর জীবন সংশয় দেখা গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনেরও এতে মদত রয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নিবেদিতা বসাক বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শ্যামল দাস দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যুব সমাজকে নেশায় আসক্ত করাচ্ছিল। স্থানীয় যুবকরা শনিবার রাতে এই নেশার প্রতিবাদ করলে শ্যামল দাস তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের হামলায় প্রতিবাদকারী এক যুবকের আঙুল গুরুতর জখম হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ