Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP leader Shamik Bhattacharya Firhad Hakim

‘কয়েকমাস পরেই গান গাইবে একটু জায়গা দাও মা মন্দিরে বসি’, ফিরহাদকে খোঁচা শমীকের

'যদি ভোটে তৃণমূলের আসন পঞ্চাশের উপর যায় তাহলে ভাববেন অনেক পেয়েছে', খোঁচা মুকুলের।

BJP leader Shamik Bhattacharya slams Firhad Hakim ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 23, 2020 6:51 pm
  • Updated:December 23, 2020 10:45 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দলত্যাগের পর বুধবার কাঁথিতে হাইভোল্টেজ সভা করে তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায় ওই সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও। সাংবাদিক বৈঠক করে তারই পালটা জবাব দিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্য। 

পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “শুভেন্দুর লজ্জা লাগা উচিত। কৃষকদের যারা হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে গেলেন। অমিত শাহের পা ছুঁয়ে কী বললেন একটু জায়গা দাও?” তারই পালটা জবাব দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আর কয়েকটা মাস যেতে দিন না। দেখবেন ফিরহাদ গান গাইছে একটু জায়গা দাও মা মন্দিরে বসি।” ফিরহাদ হাকিম এদিনের কাঁথির সভামঞ্চ থেকে পরিবারতন্ত্র নিয়েও খোঁচা দেন। তাঁর দাবি, শিশির অধিকারী নিজের যোগ্যতায় কিছু করতে পারেননি। শিশির অধিকারীর জন্য তিনি রাজনীতিতে এগোতে পেরেছিলেন। সে প্রসঙ্গেও পালটা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বাবা ছেলের জন্য করবেন তা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই।” আরও একবার কাঁথির মঞ্চ থেকে শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। সে প্রসঙ্গেও ফিরহাদকে খোঁচা দিয়েছেন। “মানুষ প্রকৃত সত্য বুঝতে পারছেন” বলেই দাবি বিজেপি নেতার।    

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলার কৃষকরা ‘বঞ্চিত’, কৃষক দিবসে টুইটে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে জোরাল আক্রমণ রাজ্যপালের]

এছাড়াও তৃণমূলকে এদিন একাধিক প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। তাঁর দাবি, “রাজ্যবাসীকে নতুন করে দেওয়ার বা বলার তৃণমূলের আর কিছু নেই। অমিত শাহ যেখানে গিয়েছেন। সেই বাউলের বাড়িতেই গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অমিত শাহ যেখানে যাচ্ছেন সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে।” অমিত শাহ বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে একাধিক ইস্যুতে খতিয়ান তুলে ধরে রাজ্যকে খোঁচা দেন। মঙ্গলবার নবান্নে তার পালটা জবাব দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী ওই জবাব দেওয়ার জন্য রসিকতা করে ধোকলা খেতে চান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রকৃত উত্তর দেওয়া হলে ধোকলার পাশাপাশি নলেন গুড়ের সন্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জানান শমীক। যদিও বিজেপি নেতার পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ঘাসফুল শিবিরের তরফে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে ঠিক কটা আসন দখল করতে পারবে তৃণমূল, তা নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। তিনি বলেন, “আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের আসন যদি পঞ্চাশের উপর যায় তাহলে ভাববেন অনেক পেয়েছে। তৃণমূলের আসন সংখ্যা দু’দশকে পৌঁছবে কিনা সন্দেহ।” তৃণমূল ছেড়ে আর কোনও হেভিওয়েট বিজেপিতে আসছেন কিনা তা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু এদিন না জানলেও মুকুলবাবুর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য, “তৃণমূল বিধায়কদের ফোনে ফোনে আর থাকা যাচ্ছে না।” বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সল্টলেকের বিডি ব্লকে মুকুল রায়ের বাড়িতে যান সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, আগামী রণকৌশল ও কীভাবে কাজ করবেন সেসব নিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর। বৃহস্পতিবার কাঁথিতে শুভেন্দু যে একাই সভা করবেন তাও জানান মুকুল রায়। যদিও দুজনের মধ্যে এদিন প্রায় এক ঘন্টার বৈঠক নিতান্তই সৌজন্য মূলক বলেই দাবি মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর। বৈঠকে ঢোকার সময় শুভেন্দু বলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। পরে বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে মুকুল রায়ের বক্তব্য, “আমি বিজেপির পদাধিকারী। শুভেন্দু তৃণমূলে ছিল। ফলে রাজনৈতিক কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। এখন আমরা একই দলে। ও ভেবেছে মুকুলদা কেমন আছে একবার দেখা করে আসি। একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কোনও বৈঠক হয়নি।” 

[আরও পড়ুন: ‘হাজার বদনাম করলেও বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না’, সংগীত মেলার মঞ্চ থেকে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ