রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আইনশৃঙ্খলা, দলীয় কর্মীদের উপর হামলা-সহ একাধিক ইস্যুতে দলের সাংসদদের রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর পর এবার ১৪ জন বিধায়ককে রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছে বিজেপি। আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। সেই দলে পদ্ম প্রতীকে জয়ী বিধায়কদের পাশাপাশি তৃণমূল ও অন্যদল থেকে বিজেপিতে আসা বিধায়করাও থাকবেন।
রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা শনিবার জানান, “আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব আমরা।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এ রাজ্যে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নারী নির্যাতনের ঘটনা, দলীয় কর্মীদের উপর মারধর-ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদরা। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি থেকে রাজ্যপালের কাছে বারে বারে বিজেপির প্রতিনিধিদলের নালিশ জানানো, তৃণমূলকে চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সামনেই পুরভোট রয়েছে। তাই রাজ্যে পুরনির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে চাপে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুনে নজরে বিজেপি সাংসদ, ফের জেরা CID’র]
এদিকে, সিএএ-এর পক্ষে রাজ্যে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা চলছেই। শনিবার সিঁথি মোড় থেকে টালা ব্রিজ পর্যন্ত সিএএ-এর সমর্থনে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির উদ্যোগে অভিনন্দন যাত্রা হয়। পুলিশ অবশ্য চিড়িয়ামোড়েই মিছিল আটকে দেয়। মিছিলে ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল, দীনেশ পাণ্ডেরা। চিড়িয়া মোড়ে পুলিশ মিছিল আটকে দিলে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।