Advertisement
Advertisement
দিলীপ ঘোষ

‘জীবিত অবস্থাতেই NRC দেখে যেতে হবে মমতাকে’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর আরও সুর চড়ায় বিজেপি।

BJP state president Dilip Ghosh attacks Mamata Banerjee on NRC issue
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 12, 2019 6:43 pm
  • Updated:September 12, 2019 6:58 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাজা দাস: এনআরসি বিরোধী মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর আরও সুর চড়াল বিজেপি। বাংলায় এনআরসির পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবিত থাকাকালীন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হবে বলে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তিনি।

[আরও পড়ুুন: ‘২ কোটি তো দূর, দু’জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক’, NRC নিয়ে হুঁশিয়ারি মমতার]

বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দমদম বিমানবন্দরে পা রাখা থেকেই এনআরসি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন। নাগরিকপঞ্জির পক্ষে সকালেই তিনি বলেছিলেন, ”অসমে একটা পরীক্ষা করা হয়েছে, এবার বাকি দেশে করার চেষ্টা করব। প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি পশ্চিমবাংলায় ঢুকেছে। তারা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। অন্তত ২ কোটি মানুষের নাম বাদ পড়বে।” এদিকে, এদিন দুপুরেই এনআরসি-র বিরোধিতায় সিঁথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মিছিল থেকে দিলীপকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২ কোটি নাম বাদ যাওয়া দূরের কথা। ২টো লোকের গায়ে হাত দিয়ে দেখান।”

Advertisement

এরপর আবারও সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলায় এনআরসি ইস্যুতে জোরালো সওয়াল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিদেশি হলে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। মমতাকে জীবিত অবস্থায় এনআরসি দেখে যেতে হবে।” যে নেতারা এনআরসি-র বিরোধিতা করবে তাদেরও অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বের করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বউবাজার বিপর্যয়ের জের, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের]

হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে এখানে রেখে দেওয়া হয়েছে। যাতে ২০২১-এর ভোট বৈতরণী সহজেই পার করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ২০২১ সালের ভোটে তৃণমূলের সম্পদ। অসমে যদি ১৯ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী পাওয়া যায় তবে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা ১ কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে। বাংলাদেশ থেকে অনবরত অনুপ্রবেশকারীরা এসে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তারা নোংরা কাজকর্ম করে ফের বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে। এখানে এনআরসি হবেই।” আপাতত এনআরসি ইস্যুতেই সরগরম রাজনীতির অলিন্দ। শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের মধ্যে জারি তরজা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ