Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP State President Dilip Ghosh

‘রাজ্যের উন্নয়নে বাঙালি থেকে অবাঙালিদের অবদান বেশি’, বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে দিলীপ

স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

BJP State President Dilip Ghosh sparks controversy by his comment ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 2, 2020 1:53 pm
  • Updated:December 2, 2020 2:09 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনে আগে বাড়ছে শাসক-বিরোধী তরজার ঝাঁজ। বারবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বহিরাগত তত্ত্বকে খাড়া করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। যদিও তা খারিজ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখে উঠে এসেছে বাঙালি-অবাঙালি ইস্যুও। এবার অবাঙালি ইস্যুতেই মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

তিনি বলেন, “ব্রিটিশ আমলে থেকে রোজগারের জন্য বাইরের মানুষ বাংলায় এসেছেন। গঙ্গার পাড়ে জুটমিলে বেশিরভাগ বাংলার বাইরের মানুষ কাজ করতেন। বাংলায় যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের অবদান বেশি।” বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ই টার্গেট বিজেপির (BJP)। তাই বাঙালিদের মন পেতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি-সহ সকলেই। বাংলায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন, ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বাঙালি বেশে বক্তৃতা, বাংলায় টুইট সবই বাঙালি আবেগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়ার কৌশল বলেই দেখেছিল রাজনৈতিক মহল। অথচ তারই মাঝে দিলীপ ঘোষের অবাঙালিদের অবদান নিয়ে করা মন্তব্যে গেরুয়া শিবির বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আরজি ধনকড়ের, বাধা বয়স ও কো-মরবিডিটি]

মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) দলবদলের জল্পনা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে বৈঠক হয়। তা নিয়েও ক্যানিং স্ট্রিটের চায়ে-পে-চর্চায় খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এতদিন তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ চলছিল। এবার মানভঞ্জন করছে।” রাজ্যের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি জানান, নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রকল্পের নামে দলের প্রচার হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও তার পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের এখন কিছুই করার নেই, যতক্ষণ না নির্বাচন ঘোষণা হচ্ছে।” এদিকে, বুধবার ক্যানিং স্ট্রিটে যুব তৃণমূলের কর্মীরা ‘সব বেচে দে’ লেখা টি-শার্ট পরে প্রাতঃভ্রমণ করেন। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে’ পৌঁছাল বাংলার সরকার, কলকাতার প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন হালতুর মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ