রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রকাশ্যে বা দলীয় বৈঠকে। বারবার তাঁর মন্তব্যের জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অস্বস্তিতে পড়ে দল। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ফের সতর্ক করা হল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কনভেনশন শেষ হওয়ার পর রবিবার সকালে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তখনই তাঁকে সতর্ক করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন দিলীপ। সে কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয় বঙ্গ বিজেপিকে। সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে, জানা গিয়েছে ১৬ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ। ১৫ তারিখ রথযাত্রা নিয়ে চূড়ান্ত রায়দান করবে সুপ্রিম কোর্ট। তাই রায়ের উপরে ভিত্তি করেই অমিত শাহর সফরসূচি নির্ধারিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
[মোদি যদি এতই খারাপ হবে তাহলে মহাজোট করতে হচ্ছে কেন? কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মমতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি বাংলার মুখ। ওনার সুস্থতা ও সাফল্য কামনা করি। ওনার সুস্থ থাকাটা দরকার। কারণ ওনার সুস্থতার উপরেই বাংলার ভাগ্য নির্ভর করছে।” এরপরই বোমাটি ফাটান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “মমতার সুস্থ থাকাটা প্রয়োজন এজন্যেই বলছি কারণ বাঙালি হিসেবে যদি কেউ প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে ওনার সুযোগ আছে। জ্যোতিবাবুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু দল হতে দেয়নি। তাই ওনার (মমতার) নামই এক নম্বরে আছে। এর আগে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, একজন বাঙালির প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রয়োজন।” দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি যদি ২০১৯-এ জেতে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন? প্রশ্নের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “তারপরে হতে পারেন, ওনার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।”
[খুনের পর ‘দৃশ্যম’ ছবির কায়দায় দেহ লোপাট, গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা-সহ ৫]
পাশাপাশি, আগামী ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, ওইদিন সভা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই ৭ ফেব্রুয়ারি দিনটিকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.