সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইক ব়্যালি নিয়ে আদালতে মুখ পুড়ল বিজেপির। মিছিল নিয়ে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বিজেপিকেই তার দায় নিতে হবে।সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ একথাই জানিয়ে দিল। পাশাপাশি আদালত মিছিল নিয়ে বেশ কিছু শর্তও দিয়েছে।
[বাইক মিছিলে ফের উত্তেজনা শহরে, মুরারিপুকুরে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি]
এদিন মিছিল নিয়ে যেমন বিশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়, তেমন এই ইস্যুতে আদালতে ছিল টানটান উত্তেজনা। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন এই ব়্যালিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে ২৯০টি মোটরবাইক এসেছে।এমনকী ভিন রাজ্য থেকে লোক আনা হয়ছে বলেও তিনি আদালতে জানান। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়, কর্মসূচির আয়োজক যুব মোর্চা। তবুও মিছিল বিজেপির পতাকা দেখা যাচ্ছে। তাহলে আসলে ব়্যালির আয়োজক কে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকী যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এর জবাবে বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু ও ব্রজেশ গুপ্তা ওই নেতার নিয়োগপত্র আদালতে দেখান। সওয়াল জবাব শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মিছিল নিয়ে কোনওরকম অশান্তি হলে যুব মোর্চা তথা বিজেপি দায়ী থাক ব়্যালি নিয়ে বেশ কিছু শর্ত চাপায় আদালত। সেখানে জানানো হয়, সময়মতো মিছিল শুরু করতে হবে। কারণ এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দেরিতে যাওয়ায় ব়্যালি করতে দেরি হয়। এক জেলা থেকে আর এক জেলায় গেলে ১৫ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হবে। বাইক ব়্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের কথা মেনে চলতে হবে।
[ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে মডেলের ‘শ্লীলতাহানি’, অভিযুক্ত অটোচালক]
আইনি লড়াই চলার ফাঁকে যুব মোর্চার বাইক মিছিল ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। একাধিক বাইকে কোনও নম্বর প্লেটই নেই। এদিন মিছিল চাকদহে ঢুকতে কালো পতাকা দেখানো হয়। রানাঘাটেও সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে পুলিশি প্রহরা থাকায় পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। মিছিল নিয়ে এই তরজার মাঝে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার সুরক্ষা দেওয়ার কথা বললেও আদৌ কিছু করেনি। আদালত, সংবিধান, গণতন্ত্র রাজ্য প্রশাসনে মানে না। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন, যে কোনও মূল্যে মিছিল তাঁরা নিয়ে যাবেন। কোনওরকম অশান্তি, গণ্ডগোল হলে বিজেপিকে দায় নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা আদালতের এই নির্দেশে গেরুয়া শিবির বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয় রাজ্য প্রশাসনের থাকলেও অশান্তির জন্য বিজেপিকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে আদালত প্রকারন্তরে গেরুয়া শিবিরকে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিল মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.