সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইক ব়্যালি হলেও চাকা কতদূর গড়াবে তার কোনও ঠিক নেই। তার আগে বিজেপি রইল বিজেপিতেই। এই কর্মসূচি স্থগিত হওয়ার ঘোষণায় ফের দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এল। দুই নেতার পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে চূড়ান্ত বিভ্রান্ত কর্মী, সমর্থকরা।
[বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জোড়াবাগান, চলল ব্যাপক ভাঙচুর]
ব়্যালি নিয়ে অশান্তি তীব্র হওয়ার পর এই কর্মসূচি শুক্রবারের মতো স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জোড়াবাগানে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন এই বিষয়ে অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রের সহযোগিতা না পেলে ব়্যালি করা সম্ভব নয়। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যর পরই বাইক ব়্যালি বন্ধ রাখা হয়। দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতৃত্ব অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। তবে সে খবর মুকুল রায়ের কাছে পৌঁছেছিল কি না তা অবশ্য জানা যায়নি। সদ্য গেরুয়া শিবিরে আসা মুকুল জানিয়ে দেন ছেলেরা বাইক ব়্যালি করতে বদ্ধপরিকর। প্রাণ চলে গেলেও ব়্যালি হবেই। দুই প্রথম সারির নেতার মুখে এমন পরস্পরবিরোধী কথাবার্তায় কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তারা বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কী করণীয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, দুই নেতার আলাদা বিবৃতি কর্মীদের হত্যোদম করার পক্ষে যথেষ্ট। ঐক্যমত্য না হলে প্রতি পদে তারা হোঁচট খাবেন।
[সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বেনজির বিদ্রোহ ৪ বিচারপতির]
দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসা অবশ্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। মুকুলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকে যোগদান পর্ব পর্যন্ত নানা সময় তাঁর প্রতি তির্যক মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। নোয়াপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনের মুকুল রায়ের মনোনীত মঞ্জু বসু তৃণমূলে থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘটনায় মুকুলের মুখ পুড়েছিল। শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা উপনির্বাচনের লড়াইয়ে মুকুল ‘আত্মঘাতী’ গোল খাওয়ার পর বাইক ব়্যালি নিয়ে এই মন্তব্য তাকে নতুন দলে আরও কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিল।