Advertisement
Advertisement

কালো টাকার ভান্ডার সোনাগাছি, জমানো আছে বেআইনি সোনাও

কালো টাকা আর বেআইনি সোনার ভান্ডার সোনাগাছি৷

Black money and unauthorized gold is kept at Sonagachi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 12, 2016 10:41 am
  • Updated:November 12, 2016 10:41 am

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: বিছানার তোশক সরাতেই কাঁড়িকাঁড়ি কাঁচা টাকা৷ আলমারির পাল্লা সরাতেই বেরিয়ে পড়বে বেআইনি সোনার গয়না৷ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা ট্রাঙ্ক খুললেও দেখা যাবে বেহিসাবি সোনাদানা৷ নোট বদলে দেশের কালো টাকা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টার মাঝেই কলকাতার নিষিদ্ধপল্লি সোনাগাছির অন্দরে এইভাবেই লুকিয়ে রয়েছে হিসাব বহির্ভূত কোটি কোটি কালো টাকা এবং বেআইনি সোনাদানা৷

সোনাগাছির নিষিদ্ধ সাম্রাজ্যে রয়েছে প্রায় শতাধিক বাড়ি৷ এই বাড়িগুলিতেই রয়েছে কয়েক হাজার ঘর৷ মসজিদবাড়ি স্ট্রিট থেকে শুরু করে অবিনাশ কবিরাজ লেন এবং দুর্গাচরণ মিত্র লেনে রয়েছে ‘নাইট লাভার্স’, ‘সঙ্গম’, ‘ভারতবাড়ি’, ‘প্রেমবন্ধন’, ‘কাঞ্চনভিলা’, ‘নীলকমল’, ‘রূপশ্রী’, ‘ড্রিম হাউস’-এর মতো শতাধিক বাড়ি৷ এই সমস্ত বাড়ির কয়েক হাজার ঘর দেহব্যবসার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করেন প্রায় ১১ হাজার যৌনকর্মী৷ বাড়িওয়ালা বা বাড়িওয়ালিদের ঘরপিছু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়াবাবদ দিতে হয় যৌনকর্মীদের৷

Advertisement

সোনাগাছির নিষিদ্ধ সাম্রাজ্যে এই কোটি কোটি টাকার রোজগারের সবটাই হয় আয়কর ছাড়া৷ প্রতি রাতে রোজগারের এই কোটি কোটি কাঁচা টাকা সোনাগাছির বাড়িওয়ালা, বাড়িওয়ালি এবং যৌনকর্মীরা পরেরদিন ব্যাঙ্কে জমা দেন না৷ এই নিষিদ্ধপল্লির রীতি অনুযায়ী, রোজগারের টাকায় এখানকার সকলেই আয়কর ফাঁকি দিতে সোনা কিনে নেয়৷ পাশাপাশি কর বাঁচাতে যৌনকর্মীরা দেহব্যবসা থেকে আয়ের টাকা কখনও বিছানার তোশকের নিচে, কখনও আবার ঘরের কোনও গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখে৷ বছরখানেক আগে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে আয়কর বিভাগের কর্তারা হানা দিয়েছিলেন এই নিষিদ্ধপল্লিতে৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই আয়কর হানায় বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কোটি কোটি কালো টাকা এবং দেদার সোনাদানা৷ আয়কর কর্তাদের এই গোপন অভিযানের পরও কালো টাকা লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সোনাগাছির চরিত্র এখনও বদলায়নি৷  সেই  একই কায়দায় এখানে এখনও চলছে আয়কর ফাঁকি দিয়ে টাকা ও সোনাদানা লুকিয়ে রাখার প্রবণতা৷

Advertisement

৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর অবশ্য বৃহস্পতিবার কয়েকজন যৌনকর্মীকে দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে৷ প্রায় জনাদশেক যৌনকর্মী লাইনে দাঁড়িয়ে এদিন টাকা জমা দেয়৷ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে অবশ্য তাদের ব্যবসার কোনো ক্ষতি হয়নি৷ অবশ্য, গত দুদিনে যৌনব্যবসায় কেউই ৫০০-১০০০ টাকার নোট নেয়নি৷ ব্যবসার আগে প্রথমেই তারা সকলকেই খুচরো দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এসেছে৷ সেই অনুরোধ রেখে ব্যবসা চলেছে সমানতালেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ