Advertisement
Advertisement
করোনা

চরম অমানবিক! উল্টোডাঙায় রাতভর মিষ্টির দোকানে পড়ে রইল করোনায় মৃত কর্মীর দেহ

রিপোর্ট পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও কেন দোকানে ছিলেন ওই ব্যক্তি? উঠছে প্রশ্ন।

Body of a Corona affected man lay untouched in a shop

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 2, 2020 4:42 pm
  • Updated:July 2, 2020 4:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে দোকানেই। জানার পর সৎকারের ব্যবস্থা তো দূর-অস্ত, সংক্রমণের আতঙ্কে কাছে গেল না কেউ। ফলে রাতভর সেখানেই পড়ে থাকে দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার (Kolkata) উল্টোডাঙায়।

জানা গিয়েছে, গৌরীবাড়ি এলাকার এক মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ দেয়। এরপরই তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। বুধবার বিকেলে দোকানেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সূত্রের খবর, মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরও কেউই ওই ব্যক্তির সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করেনি। রাতভর সেখানেই পরে থাকে দেহ। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, রিপোর্ট পজিটিভ আসা সত্ত্বেও কেন হাসপাতালে পাঠানো হয়নি তাঁকে?

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণের ফর্ম জমা দিতে বিডিও অফিসে হুড়োহুড়ি, চাপে কুলতলিতে পদপিষ্ট হয়ে জখম বহু]

এই প্রথম নয়, করোনােকালে অমানবিকতার একাধিক ছবি দেখা গিয়েছে শহর থেকে জেলা-গোটা রাজ্যেই। কোথাও মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়াননি স্রেফ সংক্রমণের ভয়ে। কোথাও অসুস্থ মানুষকে দেখেও মুখ ফিরিয়েছেন মানুষ। কারণ একটাই, যদি ছড়িয়ে যায় সংক্রমণ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে হাওড়ার করোনা আক্রান্ত এক যুবকের মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি করোনা আক্রান্ত না হওয়া সত্ত্বেও দেহ এলাকায় ঢোকাতে বাধা দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কারণ, তাঁদের মনে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, ছেলে আক্রান্ত মানে মায়ের মৃত্যুর নেপথ্যে করোনা-ই! একের পর এক এহেন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে মানবিকতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাপে কাটার পর ঝাড়ফুঁক, পরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না যুবককে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ