দীপঙ্কর মণ্ডল: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নবম দিনে নকলে বাধা দেওয়ায় স্কুলে বোমাবাজি৷ উত্তপ্ত শ্যামবাজারের এভি স্কুল৷ অভিযোগের তির তাঁতিয়া স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় একজন শিক্ষিকা গুরুতর জখম হয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ তবে কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি৷
[দমদম স্টেশনের কাছে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য, আক্রান্ত অধ্যাপক]
১৩ মার্চ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে৷ তবে সোমবারই অনেকে শেষ পরীক্ষা দিয়েছে৷ শ্যামবাজারের এভি স্কুলে বড়বাজারের তাঁতিয়া স্কুলের ছাত্রদের সিট পড়েছিল৷ এভি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, উচ্চমাধ্যমিক শুরুর দিন থেকেই তাঁতিয়া স্কুলের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া নকল করতে গিয়ে বারবার ধরা পড়েছে৷ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে৷ ধমক দেওয়ার পরেও শিক্ষা হয়নি ওই পরীক্ষার্থীদের৷ অভিযোগ, এদিনও পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই নকল করার চেষ্টা করতে থাকে তারা৷ সেই সময় শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষক তাদের বাধা দেন৷ শিক্ষকের কথা শুনে পরীক্ষা চলাকালীন টুকলি বন্ধ করে দেয় পড়ুয়ারা৷ দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ নির্দিষ্ট সময়ে খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা৷ এরপরই স্কুলের বাইরে প্রচণ্ড শব্দ হয়৷ বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আচমকাই হতচকিত হয়ে পড়েন সকলেই৷ কিছুক্ষণ পর টিচার্স রুমের ভিতরে একটি চকলেট বোমা ফাটে৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, নকলে বাধা দেওয়ায় জানালা দিয়ে স্কুলের ভিতর বোমা ছোঁড়ে ওই ছাত্ররা৷ বোমাবাজিতে একজন শিক্ষিকা পায়ে চোট পেয়েছেন৷ প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয়েছে তাঁর৷
[৭ দফার ভোটে তৃণমূলের ‘দফারফা’! নির্বাচনী নির্ঘণ্টে খুশি বিজেপি]
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছান আধিকারিকরা৷ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা৷ স্কুলের যে জানালা দিয়ে বোমা ছোঁড়া হয়েছে তার পাশেই একটি দোকান রয়েছে৷ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা জানতে ওই দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ৷ তাদের সঙ্গে কথা বলেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর যেহেতু পুলিশ এসেছিল তাই অশান্তির ছবি তাদের চোখে ধরা পড়েনি৷ তবে এদিন রাত পর্যন্ত এভি স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের আতঙ্ক কাটেনি৷ রাজ্যে নকল রুখতে এবছর শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নেওয়া হয়েছিল নানারকম ব্যবস্থাও।সেই মতো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এভি স্কুলের শিক্ষিকারাও।তারপরই পড়ুয়াদের এই আচরণ, মোটেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছে শিক্ষামহল। যদিও সংসদ দাবি করেছে গোটা রাজ্যে এদিন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে৷ কলকাতা পুলিশেরও বক্তব্য এই ঘটনায় কেউ আহত হননি৷ এলাকার শান্তিও বিঘ্নিত হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ৷