Advertisement
Advertisement

ত্রিপুরা ভোটের নাম করে তোলাবাজি, সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যবসায়ীর

ত্রিপুরার ভোটের জন্য মোট ১ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ।

Businessman accuses Bidhannagar mayor Sabyasachi Dutta of extortion
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 13, 2018 4:33 pm
  • Updated:February 13, 2018 5:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন জনৈক ব্যবসায়ী মধুসূদন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে তিনি তাঁর অভিযোগ জানান। জানান, ফোন করে হুমকি দিয়ে তাঁর থেকে বারবার টাকা চাওয়া হচ্ছে। তিনি তা দিতে অপারগ। এতে তাঁর প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।

বাঘাযতীনের পর এবার ঢাকুরিয়া-হালতুতে ডায়েরিয়া, ছড়াচ্ছে তীব্র আতঙ্ক ]

Advertisement

মধুসূদনবাবুর অভিযোগ, তাঁর থেকে ১ কোটি টাকা তোলা চাওয়া হয়। ঘটনার সূত্রপাত দিন কুড়ি আগে। মধুসূদন চক্রবর্তী নামে ওই ব্যবসায়ী জানান, এক রবিবার রাতে তাঁকে ফোন করে সব্যসাচী খোঁজখবর নেন। সে সময় তিনি বলেন, তাঁর শরীর ভাল নয়। পরে কথা হবে। এর কয়েকদিন পরে, ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফোন করে বলা হয় টাকা লাগবে। সব্যসাচীর কথামতো ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা  মেয়রের অনুগামী বিদ্যুৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। বিকেল নাগাদ সে টাকা দিয়ে দেওয়া দেন বলে দাবি তাঁর। ৩ তারিখ ফোন করে টাকার প্রাপ্তি স্বীকারও করেন সব্যসাচী। এরপর ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে ফের ফোন আসে। ত্রিপুরা ভোটের জন্য মোট ১ কোটি টাকা তাঁর থেকে দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সব্যসাচীবাবুকে ফোন করে বলেন, এত টাকা দিতে পারবেন না। যা দিতে পারবেন তা ১২ ফেব্রুয়ারি দিয়ে দেবেন। এই কথা বলামাত্রই তাঁকে বলা হয়, এসব কথা তিনি শুনতে চান না। যেনতেন প্রকারেণ টাকা দিতে হবে। নইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উদ্ধার করতে পারবেন না। আর তাঁর থেকে খারাপ লোকও আর কেউ হবে না। ইতিমধ্যে টাকা দেওয়ার দিন পেরিয়েছে। এর পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন ওই ব্যবসায়ী। প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করছেন তিনি। অন্যান্য বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন। তাঁরাও জানিয়েছেন, টাকা দিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে। সব্যসাচীবাবু ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর ক্ষতি করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্যান্য নেতারা। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। মিডিয়ার সামনে নিজের অসহায়তার কথাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকেও। করজোরে তাঁর আরজি, তিনি বিপদে আছেন। তাঁকে যেন বাঁচানো হয়।

Advertisement

ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করলে সাজা, নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ]

ব্যবসায়ীর অভিযোগ অস্বীকার করে সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে তাঁর নামে। তাঁর প্রশ্ন, ওঁর কাছে ফোনের রেকর্ড আছে তো তা তিনি শোনাচ্ছেন না কেন? তাঁর আরও প্রশ্ন, টাকা চাওয়া হলেই বা ওই ব্যবসায়ী দিচ্ছেন কেন, দেবেনইবা কেন? ত্রিপুরা ভোটের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দিয়েছেন সব্যসাচী। যদিও এ বিষয়ে অন্যান্য তৃণমূল নেতারা এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ