Advertisement
Advertisement
Calcutta HC

প্রাপ্য মেটানোর প্রতিশ্রুতি মদনের, সিএসটিসির কর্মীদের পিএফ মেটাতে সুযোগ হাই কোর্টের

এরপরও ওই বকেয়া টাকা না মেটানো হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।

Calcutta HC gives opportunity to settle PF of CSTC employees
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:July 5, 2025 8:46 am
  • Updated:July 5, 2025 8:58 am  

স্টাফ রিপোর্টার: সিএসটিসির চেয়ারম্যান মদন মিত্রর প্রতিশ্রুতিতেই আদালত অবমাননা মামলায় শেষ সুযোগ দিল হাই কোর্ট। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী চার মাসের মধ্যে পরিবহণদপ্তর ও অর্থদপ্তরকে বকেয়া অবসরকালীন সুবিধা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এরপরও ওই বকেয়া টাকা না মেটানো হলে মদন-সহ সংস্থার একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।

Advertisement

কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকা মেটানো হয়নি। এই নিয়ে মামলায় তৃণমূল বিধায়ক তথা সিএসটিসি-র এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মদন মিত্র-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে এদিন রাজ্যের অর্থসচিব, সিএসটিসির চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিএসটিসির এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মদন মিত্র হাই কোর্টে হাজিরা দেন। অবিলম্বে প্রাপ্য মেটানোর জন্যও প্রতিশ্রুতি দেন মদন মিত্র।

আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতির মন্তব্য, “আমার কোনও ইগো থেকে ডাকিনি। প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে তদন্তের জন্য ডেকেছি। মাসিক বেতন থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হয় ভবিষ্যতের জন্য। সিএসটিসির কর্মীরা তাঁদের টাকা পাচ্ছেন না। কারও মেয়ের বিয়ে, কারও স্ত্রীর অসুখের চিকিৎসার জন্যে টাকার দরকার। আমি তিন-চারবার সুযোগ দিয়েছি। আপনাদের এখন ডেকেছি। কর্মীরা যেন কোনওভাবেই বঞ্চিত না হন।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের টাকা প্রথমে সংস্থায় যায়, তারপর কর্মীরা পান। আমরা ট্রাস্টকে দিতে পারি না।” আরও বলেন, “আমরা টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছি। এবার ট্রান্সপোর্টদপ্তর কী করেছে জানি না। ইতিমধ্যেই বকেয়ার ১৭ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ১৭ জন মাত্র টাকা পেয়েছেন। এখনও ১৫০ জন আবেদনকারীর টাকা বাকি আছে। আদালত আরও বলে, আপনাদের ডেকে আমার কোনও আনন্দ নেই। কিন্তু বাকিদের টাকা নিয়ে আমরা ভাবছি।

শুনানিতে অর্থদপ্তরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্র বলেন, “আমরা পরিবহণদপ্তরকে টাকা দিয়েছি। এবার তারা ডে টুডে দেখবে। পরিবহণ সচিবকে চিঠি লিখেছি কিন্তু লাভ হয়নি।” বিচারপতি বলেন, “ধরে নিন আপনি যৌথ পরিবারে থাকেন। সেখানে আপনি কর্তা। প্রশ্ন উঠলে আপনার বিরুদ্ধেই উঠবে। আপনি লিখে জানাতে পারতেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement