Advertisement
Advertisement
Suvendu Adhikari

শুভেন্দুকে মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি হাই কোর্টের, মানতে হবে একাধিক শর্ত

হাই কোর্টের অনুমতির পর মঙ্গলবার মহেশতলা যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতার।

Calcutta HC grants permission to Suvendu Adhikari for visit Maheshtala
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 16, 2025 1:29 pm
  • Updated:June 16, 2025 1:29 pm  

গোবিন্দ রায়: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্টে। তবে একাধিক শর্ত দিয়েছেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। হাই কোর্টের অনুমতির পর মঙ্গলবার ওই এলাকায় যাওয়ার কথা তাঁর।

Advertisement

হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মহেশতলায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। তবে কোনও মিছিল করা যাবে না। বিতর্কিত মন্তব্যও করা যাবে না বলেই সাফ জানিয়েছেন বিচারপতি। সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে হয় মামলার শুনানি। তাঁকে শুভেন্দুর আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, পুলিশ সুপারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। তবে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরিবর্তে বলা হয়, ওই এলাকায় সোমবার পর্যন্ত বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। মঙ্গলবার তা উঠে যাবে। তা সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতাকে ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেকথা শুনে রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “যদি অনুমতি আদালত দেয় কী আশঙ্কা করছেন?”

উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা বিরোধী দলনেতা কেন সেখানে যেতে চান? উনি আদালতে আসলেন কেন? নিজেই চলে যেতে পারতেন।” আবার রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না। প্রচার চান।” বিচারপতি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এরপর বিরোধী দলনেতাকে শর্তসাপেক্ষে মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার সেখানে যাওয়ার কথা শুভেন্দুর।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। ওইদিন সকালে আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোঁড়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। উন্মত্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় ব়্যাফ। কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়। মৃদু লাঠিচার্জও হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। আবার এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement