গোবিন্দ রায়: বাড়িতে বসে আন্দোলন হয় না। বঞ্চিত থেকেও আন্দোলনে নেই, এমনটা চলবে না। নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এভাবেই চাকরিপ্রার্থীদের তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
যোগ্যতা থাকলেও মেলেনি চাকরি। তাই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মেয়ো রোডে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতেও ঠাঁই বসে রয়েছেন সুবিচারের দাবিতে। আজ, শুক্রবার সেই আন্দোলনের ৫০২ দিন। কিন্তু অনেকে সরাসরি আন্দোলনে শামিল হলেও বহু চাকরিপ্রার্থী ধরনা মঞ্চে অনুপস্থিত। অথচ এই আন্দোলনকারীদের সামনে রেখেই তাঁরাও ন্যায্য চাকরি দাবি করছেন ধরনায় না বসেই। এসএসসি নবম-দশম শ্রেণির দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) এদিন এই বিষয়টি নিয়েই আপত্তি করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলে দেন, “বাড়িতে বসে আন্দোলন হয় না। আমি বঞ্চিত, অথচ আমি আন্দোলনে নেই। তাদের আবেদনে কেন সাড়া দেবে আদালত?” এরপরই রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বলেন, “মোমবাতি নিয়ে মিছিল করলাম আর সামাজিক মাধ্যমে একটা করে বার্তা দিলাম। এভাবে আন্দোলন হয় না।”
এদিন এজলাসে উপস্থিত এক আন্দোলনকারীকে বিচারক গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির নিচে কতজন আন্দোলনে বসেন? উত্তরে আন্দোলনকারী জানান, ১৩০ জন। তবে আরও ৫৩০ জন আছেন। তখনই বিচারপতি জানতে চান, বাকিরা কোথায়? বাড়ি থেকে আন্দোলন করছেন? এরপরই বিরক্তির সুরে বলেন, একজন বাড়ি থেকে আন্দোলন করবেন। পরে আবার এসে পেনশনের দাবি জানাবেন, এটা হয় না।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ত্বরান্বিত হয়েছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। কিন্তু আদালতে অনুপস্থিত চাকরিপ্রার্থীদের ‘অভিসন্ধি’ নাপসন্দ তাঁর। বলছেন, “আমার বিচার ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেছি। তাতে আমি সমালোচিতও হয়েছি। আমি আরও সমালোচিত হতে রাজি। কিন্তু প্রকৃত ভুক্তভোগীদের আদালতে আসতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.