গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৬ সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ফেব্রুয়ারি।
এদিন শুনানির শুরুতে চিকিৎসকের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার ফের একটি নোটিস দিয়েছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে এদিন কেস ডায়রি পেশ করে রাজ্য। সেটি দেখে বিচারপতি বলেন, আজকে অবধি এমন কোনও ‘প্রেসক্রিপশন’ বা ‘লেটারহেড’ নেই যেখানে তিনি নিজেকে ইএনটি বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করছেন। রাজ্যের কৌঁসুলি শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি ওই ক্লিনিকের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করছেন। তার মানে তিনি জানেন যে কী হচ্ছে।
ফের বিচারপতি জানতে চান, যে বিজ্ঞাপনের আসফাকুল্লা নাইয়াকে ইএনটি বিশেষজ্ঞ বলে দেখানো হচ্ছে সেটা কোথা থেকে পেয়েছেন। রাজ্যের দাবি, অভিযোগকারী এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন এবং সেখান থেকে দিয়েছেন। অভিযোগপত্রের সঙ্গেই কি এই বিজ্ঞাপনের প্রিন্টআউট দেওয়া হয়েছিল বলে রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। না, আলাদা করে দিয়েছেন বলে জানায় রাজ্য। বাড়ি থেকে কোনও প্রেসক্রিপশন বা লেটারহেড পেয়েছেন বলে ফের রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। উত্তরে রাজ্য জানায়, “না। আমরা ক্লিনিকে তল্লাশি চালাতে চাই।” বিচারপতি বলেন, “একটা অভিযোগ পেলাম আর তারপর গবেষণা শুরু হয়ে গেল ! এভাবে তদন্ত করা যায় কী।” রাজ্যের দাবি, “ধর্তব্য যোগ্য অপরাধ হয়েছে বলে আমার তদন্ত শুরু করেছি।” বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একপাতার একটা অভিযোগ পেলেন আর এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিলেন! তথ্য প্রমাণ কোথায়!” তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে তারপর এফআইআর বা তদন্ত শুরু করলে কী ক্ষতি হত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, “আপনারা সাধারণ মানুষের অভিভাবক। কিন্তু রাজ্য যদি তার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা শুরু করে তাহলে তারা কোথায় যাবে!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.