দীপঙ্কর মণ্ডল: যাদবপুরের পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ফের সমাবর্তন ঘিরে শিক্ষাক্ষেত্রে অশান্তির আশঙ্কা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সমাবর্তনে যোগ দিলেই বিক্ষোভ দেখানো হবে। পড়ুয়াদের সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কর্মচারী সংগঠন। এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আচার্য। তাই আগামী ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগে সেনেটের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন তিনি। ঢোকার সময়ই বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসার চেয়ারও দেওয়া হয়নি তাঁকে। সেদিনই স্থির হয় আগামী ২৮ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হবে। তাতে ডি’লিট সম্মান দেওয়া হবে বাঙালি নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সমাবর্তনে আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উপস্থিত থাকার কথা। তবে তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে চড়ছে ক্ষোভের পারদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তাতে সায় দিয়েছেন তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরাও।
[আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধিজীবীরা নেমকহারাম, ননসেন্স’, বিদ্বজ্জনদের বেনজির আক্রমণ দিলীপ ঘোষের]
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেই এককাট্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সব কিছু ইতিবাচকভাবেই দেখি। এটা বুঝতে পারছি অসুখ আছে। আগে এক্স রে হবে, ব্লাড টেস্ট হবে, এমআরআই হবে। তারপর আমি ওষুধ দেব। প্রথমেই তো আমি অপারেশন করতে পারি না। আমি মেরুদণ্ডহীন রাজ্যপাল নই। আমি ভারতের সংবিধানের উপর আস্থা রাখি।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মতানৈক্য জারি রয়েছে। সম্প্রতি বিলের মাধ্যমে আচার্যের ক্ষমতাও খর্ব করে রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপাল এবং শাসক দলের অসন্তোষ লেগেই রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। অনেকেই বলছেন, বিল পেশের পর থেকেই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত বড়সড় আকার নিয়েছে। উপাচার্যদের রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার মতো একাধিক ঘটনায় বারবার প্রকট হচ্ছে দু’পক্ষের দ্বৈরথ।