Advertisement
Advertisement

Breaking News

WB Elections 2021

প্রচারে গিয়ে আলিঙ্গন, করমর্দন করলে যেতে হতে পারে জেলে! করোনাকালে প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি কমিশনের

পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কড়া পদক্ষেপ কমিশনের।

Candidates may go to jail if they shake hands, says Election Commission | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 24, 2021 9:44 am
  • Updated:March 24, 2021 5:35 pm

শুভঙ্কর বসু: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ। মায়ের কোল থেকে ফুটফুটে শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে গালে আদরের চুম্বন। উৎসাহী সমর্থকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেলফি। রোড-শোয়ে গাড়ি থেকে ঝুঁকে ঝুঁকে জনতার সঙ্গে হাত মেলানো। কত কাছের লোক, ভোটারদের তা বোঝাতে প্রার্থীরা (Vote candidate) চেষ্টায় একতিল ফাঁক রাখতে নারাজ। কিন্তু করোনা (Coronavirus) অতিমারীর (Pandemic) আবহে এহেন শারীরিক ‘মাখামাখি’ রাজনৈতিক কেরিয়ারে কার্যত দাঁড়ি টেনে দিতে পারে।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতেই সেকথা স্মরণ করিয়ে ফের কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। তাদের হুঁশিয়ারি, মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি রয়েছে। যাতে এই ধরনের শারীরিক সংস্পর্শে অনুমোদন নেই। তা সত্ত্বেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রার্থীদের গাছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা এই ধরনের হঠকারী অচরণ করতে থাকলে প্রার্থীপদ তো দূরে থাক শেষপর্যন্ত তাদের ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে। সঙ্গে খসতে পারে গাঁটের কড়িও।

Advertisement

[আরও পড়ুন : দোল এবং হোলিতে সীমিত পাতালরেল পরিষেবা, বদলাচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি]

ইতিমধ্যেই এব্যাপারে জেলাশাসক তথা জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কোভিড বিধি পালনের সমস্ত নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করে দিতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী বিধিনিষেধ রয়েছে নির্দেশনামায়? নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা পাঁচ জনের বেশি সদস্য-সমর্থক সঙ্গে রাখতে পারবেন না। প্রচারে বেরিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে।

Advertisement

অতিমারী সংক্রান্ত দূরত্ব বিধি মানতে হবে। একইরকমভাবে রোড শোয়ের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি বাদে রোড-শোয় পাঁচের বেশি গাড়ি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না। এবং এই পাঁচ গাড়ির একটি কনভয়ের সঙ্গে পরেরটির দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার। এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলিকে জনসভার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে জেলাশাসকদের আরও সতর্ক হতে বলেছে কমিশন। প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রয়েছে শুধুমাত্র এমন ময়দানকেই জনসভার অনুমতি দেওয়া যাবে। ময়দানগুলি আগে থেকে চিহ্নিত করতে হবে। একাজে সংশ্লিষ্ট জেলার কোভিড নোডাল অফিসারকে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি জমায়েত কখনওই যাতে নির্ধারিত মাত্রা না ছাড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন : রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত কারা? জানতে ফের বাড়ি-বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা]

পরিশেষে কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, নির্দেশ অমান্য করলে মহামারী আইনের ৫১ থেকে ৬০ নম্বর ধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা খোদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। মহামারী আইনের ওই ধারায় বিধিভঙ্গের শাস্তি হিসাবে দুই বছর পর্যন্ত কারাবাস ও সঙ্গে মোটা জরিমানার বিধান রয়েছে। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের এক কর্তার কথায়, “প্রার্থীও কোভিড বিধির বাইরে নয়। এমনিতেই অতিমারী আবহে ভোট হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী-সহ সকলেই নির্ধারিত নিয়ম মানতে হবে। এতে রাজনৈতিক দলগুলিরও বড় ভূমিকা রয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ