Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাত্র ১০ টাকায় বিকোচ্ছে মরা মুরগি, তদন্তে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজ্যে জুড়ে রমরমিয়ে চলত এই মরা মুরগির কারবার।

Carcass meat investigation reveals dead chicken sold for Rs 10 only
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 9, 2018 9:17 am
  • Updated:May 9, 2018 9:17 am

নব্যেন্দু হাজরা: মরা হাতির দাম নাকি লাখ টাকা! আর মরা মুরগি? মাত্র দশটা টাকা! বছরের পর বছর ধরে নাকি তেমনটাই চলে আসছে। মাত্র দশ টাকার সেই মুরগিই আবার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়! রাজ্য জুড়ে মরা মুরগির কারবারের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

[ভাগাড় কাণ্ডের জাল নিউ মার্কেটেও, মাংস বিশুকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]

Advertisement

মৃত্যুর পর মুরগি বা অন্য কোন পশুকে কবর দেওয়া হয়। পোলট্রি ফার্মের পাশে মরা মুরগি কবর দেওয়ার থাকে ডেথ গ্রাউন্ড। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যেদিন মরা মুরগিকে কবর দেওয়া হত, সেদিন রাতেই আবার মাটি খুঁড়ে মুরগিটিকে তুলে ফেলত এই কারবারের সঙ্গে জড়িতেরা। পিস প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বিক্রি হত মরা মুরগি। জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে এক লক্ষেরও বেশি পোলট্রি ফার্ম আছে। নিজস্ব ডেথ গ্রাউন্ড আছে, এমন বড় পোলট্রি হাজার সাতেক। কিন্তু, বড় হোক কিংবা ছোট, কোনও পোলট্রি ফার্মে প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই। সেসব পোলট্রি ফার্মের ডেথ গ্রাউন্ড নেই, তারা ফার্মের আশেপাশে কোনও ফাঁকা জমিতে মরা মুরগিকে কবর দিয়ে দেয়। পোলট্রি সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারটি মুরগি মারা যায়। কাছাকাছি কোনও জমিতে মৃত প্রাণীটিকে পুঁতে দেওয়া হয়। কারণ, মরা মুরগি ফেলে রাখলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তা থেকে ফার্মের অন্য মুরগিগুলি মারা যেতে পারে।

Advertisement

[ভাগাড় কাণ্ডে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন রাজ্যের, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

কোথাও রাতে আবার কোথা প্রকাশ্যে দিবালোকেই কবর খুঁড়ে মুরগির মৃতদেহ তুলে ফেলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এরপর চুন, ব্রিচিং বা ফরমালিন দিয়ে মরা মুরগিটিকে সংরক্ষণ করা হয়। তারপর মরা মুরগি পৌঁছে যেতে রেস্তরাঁ, হোটেল কিংবা কোনও খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থায়। মরা মুরগির দাম তখন হয়ে যেত পিস প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ রাজ্যে এক লক্ষেরও বেশি পোলট্রি ফার্মে যদি গড়ে তিন থেকে চারটি মুরগি মারা যায়, তাহলে প্রতিটি কমপক্ষে তিন থেকে চার লক্ষ মুরগি মারা যায়।  এই মরা মুরগির একটি বড় অংশই চলে যায় বিভিন্ন হোটেল কিংবা রেস্তরাঁ। সংখ্যাটা কোনমতেই লাখ দেড়েকের কম নয়। পোলট্রি মালিকদের দাবি, সপ্তাহে রাজ্যে মুরগি উৎপাদন হয় প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ২ কোটি ৪০ লক্ষ কেজি। কিন্তু রাজ্যের চাহিদা মোটে ১ কোটি ৯০ লক্ষ থেকে ২ কোটি ১০ লক্ষ কেজি। উদ্বৃত্ত মুরগি যায় অসম, ঝাড়খণ্ডে। তাই মরা মুরগি আর বিক্রি করার প্রয়োজন পড়ে না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজ্য জুড়ে মরা মুরগির কারবার চালাচ্ছিলেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ওয়েস্টবেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, ‘এভাবে মরা মুরগি যে দিনের পর দিন বিক্রি হচ্ছে বাজারে তা আমাদের জানা ছিল না। ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরাও সতর্ক হয়েছি। বিভিন্ন পোলট্রি ফার্মে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।‘

[দূষণে রাশ টানতে শহরের পথে এবার ছুটবে ই-বাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ