সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে ভাগাড় কাণ্ডের জাল শুধু শহরতলিতে নয়, ছেয়ে আছে গোটা রাজ্যেই। এমনকী কলকাতাও ব্যতিক্রম নয়। পুরসভার নাকের ডগায় যে নিউ মার্কেট সেখানেও রমরমিয়ে পাচার হত ভাগাড়ের মাংস। পুরো কাণ্ডের কিংপিন বিশুকে জেরা করার পরই উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[ পাঁচিল টপকে কীভাবে পাচার হত আগ্নেয়াস্ত্র, ইছাপুরে গোয়েন্দাদের দেখাবে ধৃতরা ]
পুরসভা ও নিউ মার্কেট কার্যত এক পাঁচিলে বলা যায়। সেই পুরসভার চোখের সামনেই সকলের অজ্ঞাতে বছরের পর বছর পাচার হয়েছে ভাগাড়ের মাংস। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল মাংস বিশুকে জেরার পর। জানা যাচ্ছে, নিউ মার্কেটেও নিয়ম করে আনা হত ভাগাড়ের মাংস। মূলত রাতের দিকে তা পাচার করা হত। সেখানেই প্যাকেট করে তা পৌঁছে যেত শহরের একাধিক রেস্তরাঁ ও হোটেলে। যেহেতু খাস কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে বসে মাংস পাচার হত তাই আশেপাশের হোটেল রেস্তরাঁগুলিও এখন আর সন্দেহের তালিকার উর্ধ্বে নেই। অনুমান করা হচ্ছে শুধুমাত্র মাংস বিশু বা বিশ্বনাথ ঘোড়ুই নয়। এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত বহু বড় ব্যবসায়ী। চক্রের মূল বেশ গভীরে। নইলে পুরসভার নাকের ডগায় বসে এভাবে ব্যবসা রমরমিয়ে চলতে পারে না। ফলে গোয়েন্দারা তদন্তের হাত আরও শক্ত করেছেন।
[ নয়া নিয়ম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্নাতক স্তরে কমল ফেল করার ‘ভয়’ ]
এদিকে ভাগাড় কাণ্ডের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ধরপাকড় চলছে। গড়িয়ার কাছে পচা মাংস পাচার হচ্ছে সন্দেহে আটক করা হয় এক বিক্রেতাকে। এদিকে হস্টেলে চিকেন বিরিয়ানি খেয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হওয়ায় গতকাল চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির চন্দননগরে। বেনিয়াপুকুর থেকেও আটক করা হয় দুজনকে। সৈয়দ আহমেদ রোডে একটা মিষ্টির দোকানের সামনে পচা মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। সেখানেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় দুই ব্যবসায়ীকে। খবর দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভাতেও। ওদিকে চিড়িখানার উদ্বৃত্ত মাংস পাচার হচ্ছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করেন পুরসভার আধিকারিকরা। কথা বলা হয় অভিযুক্ত রামপ্রীত দাসের সঙ্গে। সে জানায়, উদ্বৃত্ত মাংস ধাপাতেই ফেলে আসত। তবে সেক্ষেত্রে যে রসিদ দেওয়া হয় তা দেখাতে পারেনি। ফলে দানা বেঁধেছে সন্দেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.