Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI arrests 7 ECL officials in Coal scam

মাফিয়াদের সঙ্গে ‘যোগসাজশ’, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ৭ ECL কর্তা

নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় ওই আধিকারিকদের।

CBI arrests 7 ECL officials in Coal scam । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 14, 2022 8:45 am
  • Updated:July 14, 2022 9:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের সাত কর্তাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসিএলের (ECL) বর্তমান জিএম এস সি মৈত্র, তিন প্রাক্তন জিএম অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তন্ময় দাস। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ম্যানেজার পদমর্যাদার মুকেশ কুমার এবং দুই নিরাপত্তারক্ষী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহেরা। তাদের ঘুষ দিয়েই কয়লা মাফিয়ারা পাচার চালাত বলে অভিযোগ।

বুধবার সকালে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় ওই সাত আধিকারিককে। সেই অনুযায়ী বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তাঁরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের জেরা করে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন তাঁদের বয়ানে মেলে একাধিক অসংগতি। এমনকী, তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সবদিক খতিয়ে দেখে এরপরই তাঁদের গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার ওই সাতজনকে আসানসোল আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যকে সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, মুখ পুড়ল বিজেপির]

এদিকে, এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের মধ্যে চলছে তরজা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “সাত আধিকারিককে গ্রেপ্তারির মাধ্যমে আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে। সিবিআই রিল গোটাতে শুরু করেছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কয়লা পাচারকাণ্ডে যুক্ত মূল পাণ্ডাদের নাম সামনে আসবে।” কয়লা পাচার কাণ্ডে সাত ইসিএল আধিকারিকের গ্রেপ্তারিকে ‘সরষের মধ্যে ভূত’ হিসাবেই দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিদের মতোই ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ বা অর্থনৈতিক অপরাধে পলাতক আসামি ঘোষণা করতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০১৮ সালে ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ আইন আনে সরকার। এই আইন মোতাবেক, যারা ভারতে অর্থনৈতিক অপরাধ করার পর ফেরার হয়েছে, তাদের দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। অর্থাৎ, আদালত যদি বিনয় মিশ্রকে ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ ঘোষণা করে। তবে ভারতে ও বিদেশে থাকা তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে ইডি।

[আরও পড়ুন: কেন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া উদ্বোধন? মেট্রো ভবনের সামনে বিক্ষোভ মদনের, বিজেপিকে তোপ কুণালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ