স্টাফ রিপোর্টার: বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা ওয়্যারের একাধিক অফিসে তল্লাশি শুরু করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওয়্যারের ডিরেক্টরের আবাসনেও। ইতিমধ্যেই আবাসনের লকার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওয়্যারের মোট ১২টি অফিসকে চিহ্নিত করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছিল এই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা। জানা গিয়েছে, কলকাতার অফিস ছাড়াও ক্যানিং, বারাসত, হাসনাবাদ, মধ্যমগ্রামেও অফিস খুলেছিল এই সংস্থা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারেও প্রাসাদোপম অফিস খুলেছিল তারা। শুক্রবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে সেই সমস্ত অফিসে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কাগজপত্র। রাজ্যে কোথায় কোথায় এই সংস্থা সম্পত্তি কিনেছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বাজার থেকে মোট কত টাকা তুলেছে সংস্থা তদন্তের শুরুতে সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে চাইছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই শেখ শাজাহান নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংস্থার এক কর্তার নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সংস্থার একাধিক নথি থেকে আর্থিক লেনদেনে বড়সড় গরমিল ধরা পড়েছে। শুধু এ রাজ্যে নয়, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও সংস্থার বেশ কিছু অফিস রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা। সিবিআইয়ের একটি টিম ইতিমধ্যেই রওনা হয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সিবিআইয়ের এই অপারেশনে রয়েছে ৬০ জনের দল। সংস্থার তিন মাথার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তছরুপ টাকার অঙ্ক সহজেই জানা যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.