সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফান তাণ্ডবের ৭২ ঘণ্টা পরেও অন্ধকারে ডুবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। বারবার সিইএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল সিইএসসি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউসন) অভিজিৎ ঘোষ দুর্ভোগের জন্য গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। একইসঙ্গে করোনা আবহে কর্মী কম থাকায় পরিষেবা চালু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁদের কথায়, মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আমফানের তাণ্ডবে ছারখার কলকাতা। ফলে কোথাও গাছ উপড়ে গিয়েছে। তো কোথাও পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। কোথাও ৪৮ ঘণ্টা কোথাও আবার ৭২ ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে রয়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছে কসবা, রাজডাঙা, গড়ফা, যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ অফিস ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাসিন্দারা। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বারবার। এমন পরিস্থিতিতে সিইএসসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকী ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।তিনি নিজে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতয় প্রলেপ দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করল সিইএসসি।
[আরও পড়ুন : CESC’র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিকের নির্দেশ]
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে করোনা আবহে কর্মী কম রয়েছে। তাও আমরা কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি ধৈ্র্য্য ধরুন। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” একইসঙ্গে, তিনি আরও বলেন, “শহরতলির এলাকায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ভেবেছি, তার চেয়ে অনেকবেশি ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত কাজ হচ্ছে।”