Advertisement
Advertisement
মাধ্যমিক

মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় বড়সড় বদল, নতুন করে প্রথম দশে ৫ জন

রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

Changes in Madhyamik exam merit list after scrutiny
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 8, 2019 9:31 am
  • Updated:August 8, 2019 9:31 am

দীপঙ্কর মণ্ডল: মাধ্যমিকের সরকারি মেধাতালিকা থেকে দশ পড়ুয়া বাদ! বুধবার রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগে তালিকায় ছিল ৫১ জনের নাম। নতুন তালিকায় পুরনো দশজন বাদ পড়েছে। নতুন করে প্রথম দশে ঢুকে পড়েছে পাঁচজন।

মাধ্যমিকের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ব্যাপক নম্বর অদল-বদল হয়েছে। ভূরি ভূরি নম্বর বাড়ার কথা জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। মাধ্যমিকের মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহল। ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকে চাপ কমানো ও সর্বভারতীয় বোর্ডগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বিভাজিত পাঠ্যক্রম অর্থাৎ শুধুমাত্র দশম শ্রেণির সিলেবাসে এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পড়ুয়াদের মধ্যে হীনমন্যতা কাটাতে গ্রেডেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। একইসঙ্গে ‘মেধাতালিকা’ পদ্ধতিও চালু রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকা ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করেন। যারা ইতিমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে তাদের মধ্য থেকে দশজন যোগ্যই নয়। আবার ডাকা হয়নি এমন পাঁচজন পুরস্কারের হকদার। এমন আজব ঘটনার পরও হেলদোল নেই পর্ষদ সভাপতির। তিনি নির্বিকার মুখে নম্বর অদল বদল হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

Advertisement

মাধ্যমিকে যে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছিল, তাতে ৫১ জনের নাম ছিল। প্রথম স্থানাধিকারী যেমন ৬৯৪ পেয়েছিল। দ্বিতীয় পেয়েছিল ৬৯১ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পড়ুয়া পেয়েছিল ৬৮৯। যুগ্ম তৃতীয়ের মধ্যে রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ক্যামেলিয়া রায়-এর এক নম্বর বেড়েছে ৬৯০। অর্থাৎ সে তৃতীয়ই রইল। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা বাকিরা চতুর্থ স্থান দখল করেছে। অন্যদিকে আলিপুর দুয়ারের বড়বিশা হাইস্কুলের অরিন সাহার নম্বর ছিল ৬৮০। রিভিউয়ের পর তার নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৮২। স্বাভাবিকভাবে এই ছাত্র দশম স্থানে চলে এসেছে। কোচবিহারের দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের তন্নিষ্ঠা দত্ত ৬৮০ পেয়েছিল। কিন্তু ৬৮২ পেয়ে সেও দশম স্থান দখল করেছে।

Advertisement

বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠ সায়ন মণ্ডল ৬৮০ নম্বর পেয়ে একাদশ স্থানে ছিল। কিন্তু দু’নম্বর বেড়ে সেও দশম স্থান দখল করল। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কৌস্তভ সিংহ ৬৭৪ পেয়েছিল। কিন্তু তার আট নম্বর বেড়ে হয়েছে দাঁড়িয়েছে ৬৮২। ফলে সেও দশম স্থানে। বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলের অস্মিতা বন্দে্যাপাধ্যায় ৬৭৮ থেকে চার নম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ