Advertisement
Advertisement
BJP

পথে নেমে তাণ্ডব বিজেপির, পুলিশের তৎপরতায় ব্যর্থ বন্‌ধ, সচল কলকাতা ও শিল্পাঞ্চল

কলকাতায় গ্রেপ্তার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ।

Chaos over BJP bandh in West Bengal but police eases the situation by arresting some supporters | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 28, 2022 1:17 pm
  • Updated:February 28, 2022 1:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়ল না শহর কলকাতা (Kolkata) ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চলগুলিতে। সকালের দিকে হুগলিতে (Hooghly) ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বন্‌ধ সফল করার চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। সকাল থেকেই রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে যায়। সকাল থেকেই পথে পুলিশ নামায় বিক্ষোভকারীরা সফল হতে পারেননি।

Advertisement

সোমবার কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় সকাল থেকে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা নামেন বন্‌ধ সফল করতে। দেখা যায় নেতৃত্বকেও। মধ্য কলকাতায় বিজেপি (BJP)কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করার অভিযোগে মীনাদেবী পুরোহিত-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। দুপুরের দিকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি নেত্রীদের অভিযোগ, ”মানুষ বন্‌ধকে সমর্থন করে তাঁদের সঙ্গে পথে নেমেছেন। কিন্তু পুলিশ জোর করে আন্দোলন দমন করছে।” গ্রেপ্তার করা হয় আরেক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। অন্যদিকে, সকালের দিকে যাদবপুর, হাজরা মোড়ে বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আনিসের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত নিয়ে ফের জটিলতা, দেহ তুলতে বাধা দাদার, দিলেন নতুন শর্ত]

সকালে আসানসোল (Asansol) বার্নপুর ও কুলটির বিজেপি কর্মী ও মহিলা কর্মীরা অবরোধে নেমে পড়েন। তবে পুলিশি সক্রিয়তায় বন্‌ধ ব্যর্থ হয়। দফায় দফায় তাঁরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অবরোধকারীদের পুলিশ হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ পাঁজাকলা করে অবরোধকারীদের গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তোলার পর ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে দুর্গাপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে গোড়া থেকে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। ইসিএলের ১২২টি কয়লা খনি, বার্নপুর ইস্কো কারখানা, চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানা সচলই ছিল। তবে আসানসোল শিল্পাঞ্চল এদিন সকাল ন’টার পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: পাঁচতলা থেকে মরণঝাঁপ! রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য আর জি কর হাসপাতালে]

বন্‌ধের প্রভাব সকাল থেকে না পড়লেও বেলার দিকে অবশ্য বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কিছুটা অবরোধের চেষ্টা করেন। শ্যামনগর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। তাতে নিত্যযাত্রীরা সমস্য়ায় পড়েন।  বরানগর টবিন রোডের কাছেও পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বিটি রোডের একাংশ তাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ