Advertisement
Advertisement

Breaking News

একরত্তির বুকে আটকে পেরেক, জটিল অস্ত্রোপচার এসএসকেএমে

ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

Child swallows nail, to undergo complex surgery at SSKM
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 20, 2017 3:09 am
  • Updated:December 20, 2017 3:09 am

স্টাফ রিপোর্টার: বুকে আটকানো পেরেক নেমে গিয়েছে আরও নিচে। পেরেকটি যাতে আরও নিচে না নেমে যায় সে জন্য স্যালাইন চালু করেছে হাসপাতাল। তরল জাতীয় কোনও খাবার খেলে পেরেকটি নীচে নেমে গিয়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে অনুমান করছে হাসপাতাল। বালুরঘাটের একরত্তির জীবন-মরণের সিদ্ধান্ত হবে বুধবারই। এদিনই এক বছরের ঋতপ ঘোষের পাকস্থলীর কাছে আটকে থাকা পেরেক বের করতে সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার এই অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। তবে আগে পেরেকটির অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছিলেন চিকিৎসকরা। সেদিন সকালেই তাই শিশুটির এন্ডোস্কোপি করা হয়। দুপুরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন বুধবার সকাল সাড়ে ন’টায় শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হবে। আপাতত শিশুটিকে মেন বিল্ডিংয়ের অ্যালেক্স ওয়ার্ডের চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছে।

Advertisement

[শহরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ভিন রাজ্যের তরুণী ]

Advertisement

শনিবার বাড়িতে নিজের মনে খেলছিল এক বছরের বাচ্চাটি। আচমকাই খেলতে খেলতে মাটিতে পড়ে থাকা পেরেক মুখে দিয়ে দেয়। শিশুটির মা চন্দনাদেবী বুঝতে পারেন মুখে কিছু গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাত ঢুকিয়ে পেরেকটি বের করতে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ঢোক গেলার সঙ্গে পেরেকটি ভিতরে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট হাসপাতালে। এক্স-রে করে দেখা যায় বুকে আটকে রয়েছে এক ইঞ্চির পেরেক। বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে রেফার করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ জানায়, এই অস্ত্রোপচারের জন্য তাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত নেই। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তার মা-বাবা কলকাতার এসএসকেএমে চলে আসেন। সেখানে ডাঃ রাজেশ প্রামাণিকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে বাচ্চাটির।

[আম আদমির নিরাপত্তায় জোর, একাধিক নতুন থানা ও তদন্তকেন্দ্র গড়বে রাজ্য]

শিশুটির বাবা রিন্টু ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবার রাতে স্যালাইন বন্ধ করে দেওয়া হলেও ফের স্যালাইন চালু করেছে হাসপাতাল। যন্ত্রণায় মাঝে মধ্যেই কেঁদে উঠছে শিশুটি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম তৈরি হয়েছে শিশুটির জন্য। তারাই শিশুটিকে দেখছে। আগে পেরেকটি যেখানে ছিল সেখান থেকে আরও একটু নিচে না নামলে অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকির হয়ে যেত। সে কারণেই স্যালাইন বন্ধ করা হয়েছিল। আপাতত পেরেকটি যাতে আরও নিচে নেমে যায় তাই ফের স্যালাইন চালু করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যেহেতু বাচ্চাটির বয়স অল্প সে কারণে ‘ওপেন সার্জারি’ এড়িয়ে যেতে চাইছেন চিকিৎসকরা। চটজলদি সফল অস্ত্রোপচারে সুস্থ হয়ে উঠুক খুদেটি। আপাতত বালুরঘাটে বাচ্চাটির পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে এমনই কামনা করছেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরাও।

[গড়িয়াহাটে অভিজাত আবাসনে মধুচক্রের আসর, পুলিশের জালে ১১]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ