Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরে পা রাখছে লালফৌজের প্রতিনিধি দল, বৈঠক ফোর্ট উইলিয়ামে

প্রস্তুত ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড৷

Chinese military delegation to visit Indian Army base at Sukna in West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 3, 2018 5:42 pm
  • Updated:July 3, 2018 5:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও চিনের মধ্যে চলা ৭২ দিন ব্যাপী ডোকলাম সমস্যার মেটার পর প্রথমবার ভারতে এল চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল৷ সোমবার নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছে গিয়েছে দলটি৷ সেখানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে বৈঠক সেরেছে দলটি৷ মঙ্গলবার সেই দলটি আসতে চলেছে কলকাতায়৷ সূত্রের খবর, প্রথমে দলটি যাবে কলকাতার অবস্থিত ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টার ফোর্ট উইলিয়ামে৷ তারপর এনারাই যাবেন চিন সীমান্তের খুব কাছে সুকনায় অবস্থিত সেনার ৩৩-কর্পসের ঘাঁটি প্রদর্শন করতে৷ যার নেতৃত্বে রয়েছেন তিব্বত ও জিনজিয়াং প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল লিউ জিনওউ৷

[লোকসভার রণকৌশল প্রস্তুত করতে প্রদেশ নেতৃত্বকে জরুরি তলব রাহুল গান্ধীর]

Advertisement

ডোকলাম সমস্যা মেটার পর কয়েকমাস আগেই চিনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক সেরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তারপর থেকেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক৷ এমনকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনার মধ্যে হটলাইন পরিষেবা চালু করার৷ জানা গিয়েছে, ফোর্ট উইলিয়ামে বৈঠকে বসতে চলা দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বিষয়েও চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে৷ আলোচনার তালিকায় রয়েছে, ডোকলাম সমস্যার ফলে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া দুই দেশের সেনার মধ্যেকার বার্ষিক মহড়াও৷ যা পুনরায় শুরু করার বিষয়েও অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে রয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং৷

Advertisement

[ভোটের আগে দপ্তর ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ রাজ্যের, তৈরি নতুন কমিটি]

ফোর্ট উইলিয়ামের বৈঠকের পর, চিনা সেনার প্রতিনিধি দলটির সুকনায় সেনা ঘাঁটিতে প্রদর্শন করতে যাওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কূটনৈতিক মহল৷ তাঁদের আশঙ্কা, সুকনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটির সঙ্গে চিনা সেনার প্রতিনিধিদের পরিচয় করালে তা কোনও সময় বুমেরাং হতে পারে ভারতীয় সেনার পক্ষে৷ অনেকে বিষয়টির সঙ্গে তুলনা টানছেন পাঠানকোট হামলার পরের অবস্থার সঙ্গে৷ তখনও পাক প্রতিনিধি দলকে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷ তবে এই আশঙ্কার মধ্যেও ভারত ও চিনের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়া ইতিবাচক বলছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, সম্পর্কের এই উন্নতিতে কিছুটা হলেও কড়া বার্তা দেওয়া যাবে পাকিস্তানকে৷ যারা বিনা প্ররোচনায় এখনও উত্তপ্ত করে রেখেছে নিয়ন্ত্রণ রেখাকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ