Advertisement
Advertisement

Breaking News

CM Mamata Banerjee

‘চিন্তার কোনও কারণ নেই’, বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্‌তিবাসীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী

বাগবাজারে বস্‌তিবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

CM Mamata Banerjee assures help to Kolkata fire victims ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 14, 2021 12:15 pm
  • Updated:January 14, 2021 1:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগবাজারে (Bagbazar) বিধ্বংসী আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্‌তিবাসীদের পাশে রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী। তবে যতদিন না ঘর তৈরি হচ্ছে ততদিন বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের বিস্কুট ও দুধ দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অগ্নিদগ্ধ এলাকার মহিলা, পুরুষ এবং শিশুদের পোশাক এবং শীতকালের কথা মাথায় রেখে কম্বল দেওয়ার নির্দেশ তাঁর।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বস্‌তি এলাকায় আচমকাই যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা, অতীন ঘোষ। অগ্নিদগ্ধ এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বস্‌তিবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বুধবার সন্ধেয় ২৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকল কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত সকলের কাজের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করায় এমন জতুগৃহের চেহারা নিয়েছে বাগবাজার বস্‌তি এলাকা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যের ভোট ঘোষণা ফেব্রুয়ারিতেই, এপ্রিলে শেষ প্রক্রিয়া! ইঙ্গিত উপ-নির্বাচন কমিশনারের]

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। কাউকেই চিন্তা না করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিনভর বস্‌তি এলাকা সাফাই কর্মসূচি চলবে। তারপর থেকে শুরু হবে ঘর তৈরির কাজ। যাঁর যেখানে ছিল, ঠিক সেরকমই কলকাতা পুরসভাকে ঘর বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যতদিন না ঘর তৈরি হচ্ছে, ততদিন ক্ষতিগ্রস্তদের বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ী শিবিরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও মাথা পিছু ৫ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের জন্য দুধ, বিস্কুট দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুরুষদের জন্য ফিরহাদ হাকিমকে পোশাকের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মহিলাদের জন্য শাড়ির ব্যবস্থা করবেন শশী পাঁজা। প্রত্যেকের কম্বলের ব্যবস্থারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে হতাশ বস্‌তিবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। এদিকে, অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ইচ্ছা করে বস্‌তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পলের। উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা, হাসপাতাল ছাড়া করোনার টিকা নেবেন না পুর চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ