Advertisement
Advertisement

পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশ

দুর্গাপুজোয় সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে এবং মহরম এবং বিজয়া দশমী সুশৃঙ্খলভাবে পালন করার জন্য ১৫ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

CM sets 15 rules for Durga Puja organizers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 31, 2016 9:41 am
  • Updated:June 23, 2022 7:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ দুর্গাপুজোয় সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে এবং মহরম এবং বিজয়া দশমী সুশৃঙ্খলভাবে পালন করার জন্য ১৫ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

১. সিঙ্গল উইনডো সিস্টেমে অনলাইনে পুজোর জন্য আবেদনপত্র পূরণ করে অনুমতিপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করল কলকাতা পুলিশ৷ ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ‘আসান’ নামে এই প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা৷ রাজ্যজুড়ে সেই পদ্ধতিতেই পুলিশ অনুমতি দেবে পুজো কমিটিগুলিকে৷

Advertisement

২. কলকাতা পুরসভা পুজোর বিজ্ঞাপনের টাকা নেয় না৷ রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিও সেই বিজ্ঞাপনের টাকা নেবে না৷

Advertisement

৩. বিদ্যুতের খরচবাবদ সিইএসসির থেকে এবার ১৮ শতাংশ ছাড় পাবে পুজোকমিটিগুলি৷

৪. মহিলা পরিচালিত ২৫টি ক্লাব ও গরিব ২৫টি পুজোকমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার৷

৫. কলকাতা পুরসভা ১০০টি মহিলা ক্লাব ও ১০০টি গরিব ক্লাবকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে৷

৬. কলকাতার বড় ক্লাবগুলি ছোট ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে সাহায্য করবে৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, জাভেদ খান, সুজিত বসু, দেবাশিস কুমার, স্মিতা বক্সি, স্বর্ণকমল সাহা-সহ বড় ক্লাবগুলি নিজেদের ক্ষমতা মতো সাহায্য করবেন ছোটদের৷

৭. পুজো করতে গিয়ে মাঠ পাওয়ার সমস্যা থেকে শুরু করে চেকবিলি নিয়ে যাবতীয় গোলমাল মেটাবেন স্থানীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা৷

৮. পুজোমণ্ডপের গেট চওড়া করতে হবে৷ পার্কে পুজো হলে পার্কের সব ক’টি গেট খোলা রাখতে হবে৷ যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে৷ আগেরবার দেশপ্রিয় পার্ক প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেদের মতো পুজো করেছে৷ তার জন্য মানুষ সমস্যায় পড়েছে৷

৯. দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে৷

১০. মণ্ডপে ভিড় সামলাতে মোড়া দড়ি, বড় টর্চ মাইক্রোফোন রাখতে হবে৷

১১. রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা রাখুন৷

১২. রাজ্যের ‘বাংলা’ নামকে সর্বত্র প্রচারে আনতে হবে৷

১৩. সুস্থ ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার করতে হবে৷

১৪. ১১ অক্টোবর দশমী৷ বিকেল ৪ টের মধ্যে বাড়ি ও ছোট পুজোগুলির বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে৷ তার পর বেরোবে মহরমের মিছিল৷ যদি একইসঙ্গে বিসর্জন ও মহরমের যাত্রা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে বেরোয়, তা দেখবে পুলিশ৷

১৫. ১২ অক্টোবর একাদশী৷ ওই দিন মহরমও৷ ফলে ওই দিন কোনও বিসর্জন হবে না৷ পরদিন থেকে আবার হবে বিসর্জন৷ কোন পুজো কমিটি তাদের প্রতিমা কোথায় বিসর্জন দেবে, তা ঠিক করবে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ