Advertisement
Advertisement

Breaking News

রঙ নয় আবিরই হটকেক

করোনা আতঙ্কে রঙের ব্যবসা লাটে, এবার বসন্তে হটকেক হরেক আবির

রং ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

Colour is out of fashion, different Gulal is hot cake in Kolkata
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 8, 2020 1:43 pm
  • Updated:March 12, 2020 1:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোল উৎসব কি এবার রংহীন? অন্তত দোলের বাজার ঘুরলে মিলছে তেমনই ইঙ্গিত। ব্যবসায়ীরাও জানাচ্ছেন, দোলের আগে রংয়ের বাজারে ধস নেমেছে। কারণটা তাঁরাও জানেন না। কেউ বলছেন, করোনা আতঙ্ক। কেউ বা বলছেন, রঙের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কারণ দিনের শেষে রাসায়নিক মেশানো রং ত্বকে লেগে শুরু হয় নানা ইনফেকশন। সেই কারণেই রংয়ে অরুচি অনেকেরই। তবে বাজার জমিয়েছে ট্রেন্ডি রং-বেরঙের আবির। বেগুনি, আকাশি, চন্দন, বেগুনি, সাদা, চকোলেট নানা রংয়েই আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের। বড়বাজারে আবির কিনতেই তাই উপচে পড়া ভিড়। প্যাকেট-প্যাকেট করে আবির বিক্রি হচ্ছে খুচরো বাজারেও।

রাত পোহালেই দোল। কিন্তু রংবাজারে তেমন কেনাকাটা নেই। যা বিক্রি মূলত আবির। বিক্রেতারা অনেকেই জানাচ্ছেন, করোনা আতঙ্ক থাবা বসিয়েছে রংয়ে। কারণ মানুষ ভাবছেন, রং এসেছে বাইরে থেকে। কী থেকে কী হয়ে যায়! কেউ আর ঝুঁকি নিচ্ছেন না। চিনা যে পিচকারি অন্যবার থাকে, তাও এবার নেই। এখানকার তৈরি পিচকারি বিক্রিও খুব একটা ভাল না। এসব ছেড়ে আবির কিনছেন লোকে। ভিন্ন আবিরে ভিন্ন গন্ধ। তবে দোলের আগে খোলাবাজারে তার দামও চড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : চূড়ান্ত নাটক পুরসভায়, পাশে বসা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফোনে অভিযোগ পেলেন মেয়র]

বড়বাজারে পাইকারি আবিরের দাম ৬০০ টাকা বস্তা। অর্থাৎ ৬০ টাকা প্রতি কেজি। খোলাবাজারে সেই আবিরের দামই বেড়ে হচ্ছে ২০০ টাকা প্রতি কেজি। ২০ টাকা করে একশো গ্রামের প্যাকেট দেদার বিকোচ্ছে দোকানে। ক্রেতারাজাও জানাচ্ছেন, রংয়ের কী দরকার! সবাই তো বারণ করছে খেলতে। তার থেকে আবির খেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এরই মধ্যে ভেষজ আবিরের নাম করেও চলছে কালোবাজারি। দাম বাড়িয়ে স্টিকার মেরে নাম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভেষজ আবির। বড়বাজারেরই এক ব্যবসায়ীর কথায়, মূলত অ্যারারুট দিয়ে এখানকার আবির তৈরি হয়। ভেষজ আবির পাওয়াই যায় না খুব একটা। মানুষকে বোকা বানানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য]

আরেক ব্যবসায়ী জানান, রং যা তোলা হয়েছিল তাই পড়ে রয়েছে প্রায়। গতবারের তুলনায় ৩০-৪০ শতাংশ রংয়ের বিক্রি কমে গিয়েছে। মুখোশ থেকে পিচকারি সবই কমেছে। মানুষ কিছুটা মুখ ফিরিয়েছে লাল-নীল-সবুজ রং থেকে। বড়বাজারে রংয়ের দোকানের হোলসেলার সমীরণ পাল বলেন, “নিত্যনতুন রং0বেরংয়ের আবিরই এবারের দোলের ট্রেন্ড। এবার প্রচুর রং এসেছে আবিরের। তাই লোকে কিনছে। রংয়ের বাজার বিশেষ ভাল নয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ