সুব্রত বিশ্বাস: ওদের কোনও সান্তা ক্লজ ছিল না। ঘুমানোর আগে ওদের মাথায় ঘোরে পরেরদিনের খাওয়ার চিন্তা। মাথা গোঁজার আস্তানাই যাদের নেই, সান্তার কথা তাদের মাথাতেও হয়তো আসেও না। তবু এল সান্তা। একটু অন্য রূপে। আর হাওড়া স্টেশন চত্বরের ভবঘুরে শিশুদের মুখে ফুটল হাসি।
এ মাস উৎসবের। ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের। ক্যারলের সুর আর সান্তার সাজে ঝলমলে কলকাতা। সোমবারের রাস্তায় নেমেছিল মানুষের ঢল। কিন্তু সেই সব ভবঘুরে খুদেদের কাছে এ ছবি অচেনা। হাওড়া স্টেশনের ব্যস্ততা, টিকিটের লম্বা লাইন আর ট্রেনের আনাগোনা দেখেই দিন কাটে তাদের। নিত্যদিন তাদের পাশ দিয়ে চলে যায় হাজারো মানুষ। কিন্তু কেউ সান্তা হয়ে উঠতে পারে কই! তাই তাদের হাতও ফাঁকাই থেকে যায়। তবু কোথাও কোথাও থাকে ব্যতিক্রম। শিশুদের জন্য এবারের বড়দিনে সান্তার চরিত্রে দেখা গেল হাওড়া রেল পুলিশকে।
হাওড়া রেল পুলিশের উদ্যোগে স্টেশন চত্বরের প্রায় ১০০ জন ভবঘুরে শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হল কেক ও চিকেন রোল। রোজকার একঘেয়ে খাওয়া-দাওয়া বা অনেকদিন খিদে পেটেই শুয়ে পড়া কচিকাঁচাদেরও উৎসবের অনুভূতি দিতেই এমন উদ্যোগ। শুধু খাবারই নয়, শীতকালের কথা ভেবে সোয়েটার ও জ্যাকেটও বিতরণ করা হয়। এমন উদ্যোগে শামিল ছিলেন রেল পুলিশের ডিএসপি অনুসুয়া দত্ত বণিক, ডিএসপি শিশির মিত্র, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ নরেন দত্ত প্রমুখ। হাওড়া স্টেশনের বড়ঘড়ির নিচে আনুষ্ঠানিকভাবেই শিশুদের হাতে এসব তুলে দেওয়া হয়। একমাত্র আনন্দই ভাগ করে নিলে বাড়ে বই কমে না। এই অনুষ্ঠানে শিশুদের মুখের হাসিতে লেখা থাকল সে কথাই। নিঃসন্দেহে এই মুহূর্ত অন্যরকম। ছোটদের আনন্দে হেসে ওঠা সত্যিকারের একটা বড়দিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.