Advertisement
Advertisement

মন্ত্রীর আবেদন উপেক্ষা করে রেল চত্বরে চলছে খাটাল থেকে মদের ঠেক

বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, অভিযোগ স্থানীয়দের।

Cow khatal in Railway premises, localites outrage
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 31, 2018 7:30 pm
  • Updated:July 31, 2018 7:30 pm

সুব্রত বিশ্বাস: বর্ষার জলযন্ত্রণা। সঙ্গে মশার উপদ্রবে এলাকাছাড়ার দশা মানুষজনের। আর এই মশার উপদ্রবের জন্য দায়ী রেলের জমিতে বেআইনি গোটা দশেক খাটাল। যার মধ্যে শ’য়ে শ’য়ে মোষের যথেচ্ছ বিচরণ। লিলুয়ার বামনগাছি রেল আবাসন, কোচিং ইয়ার্ডের পূর্ব দিকের চত্বর জুড়ে এমনই বেহাল পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, পরিবেশ দুষিত করে এলাকায় বেআইনি খাটালের রমরমা কারবারের মূল মদতদাতা আরপিএফ। সপ্তাহে মোষ প্রতি ১০০ ও ৫০ টাকার বিনিময়ে খাটালের ছাড়পত্র দিয়েছে আরপিএফ। এলাকাটি সম্পূর্ণ রেলের এক্তিয়ারে হওয়ায় তা তদারকি করে আরপিএফই। আর এই সুযোগকে একশো শতাংশ কাজে লাগিয়ে বেআইনিভাবে আয়ের পথ তৈরি করেছেন তাঁরা। কয়েক মাস আগে হাওড়া বুথ থেকে এক ইন্সপেক্টর এই পোস্টে আসার পর থেকে এই বেআইনি কারবার রমরমিয়ে বেড়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা এই বেআইনি খাটালের জন্য মশার উপদ্রবের প্রতিবাদ জানিয়ে তা অপসারণের দাবিতে এলাকায় গিয়ে মানুষজনকে সচেতন করেন। যদিও তা গ্রাহ্য করেননি খাটালের মালিকরা।

[দিলীপের মন্তব্যের জের, উত্তর ২৪ পরগনায় রেল অবরোধের ডাক মতুয়া মহাসংঘের]

শুধু খাটালই নয়, বাসিন্দাদের অভিযোগ রেলের লোহাগেট এলাকায় মাঠের দু’দিকে মদ, গাঁজা, হেরোইনের রমরমা কারবার। এই ঠেককে কেন্দ্র করে এলাকায় অপরাধীদের আনাগোনা যেমন বাড়ছে তেমনই রাত হলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। রেলের আবাসনের আবাসিকরা সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, খালি আবাসনগুলির ভিতর নানা ধরনের অসামাজিক কাজ কারবার চলছে। বহুবার রেল কর্তৃপক্ষ ও আরপিএফকে বলেও কোনও ফল হয়নি। এলাকাবাসীর কথায়, বেআইনি খাটাল ও ঠেকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রক্ষাকারী এক আরপিএফ জনৈক ‘পি-কিউ’ নামে পরিচিত অর্থাৎ ‘পিপিপি’ বলেই তাঁকে চেনেন মানুষজন। রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

[লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র পাচারের ছক, পর্দাফাঁস জগদ্দলে]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ