রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নির্বাচনী ময়দানে শূন্যের গেরো কাটাতে ফের চিরাচরিত ব্রিগেড সমাবেশের পথেই হাঁটল সিপিএম। নতুন বছরে ব্রিগেডে আন্দোলনের পূর্বপরিকল্পনা ছিলই। এবার তার দিনক্ষণও ঘোষণা করে দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আগামী ২০ এপ্রিল, রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হচ্ছে লাল পার্টি। তার আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে গোটা রাজ্যজুড়ে হবে পদযাত্রা। শনিবার লিখিত প্রেস বিবৃতি জানানো হয়েছে কর্মসূচির বিস্তারিত। এবার ব্রিগেড সমাবেশের মূল আয়োজক দলের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সভা।
মোদির শাসনকালের গত ১৩ বছরে দেশজুড়ে একাধিক সংস্থা বেসরকারিকরণ, মধ্যবিত্তের উপর করের বোঝা চাপানো থেকে শুরু করে একাধিক জনবিরোধী নীতি গৃহীত হয়েছে বলে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তার মধ্যে শ্রমিক-কৃষক কেন্দ্রিক দল বামফ্রন্ট সর্বাগ্রে। এই দলীয় নীতি থেকেই ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ফের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে শিবিরকে চাঙ্গা করতে চায় কমরেডকুল। ২০ এপ্রিল দলের শ্রমিক সংগঠন সমাবেশের ডাক দিয়েছে। যেহেতু কর্মসূচির অগ্রভাগে এবার শ্রমিক-কৃষক সংগঠন, তাই আন্দোলনের মূল হাতিয়ারও দেশের কৃষক-শ্রমিক বিরোধী সমস্ত ইস্যু। আদানি-আম্বানির মতো শিল্পপতিদের জোরদার বিরোধিতাও উঠে আসবে ব্রিগেড সমাবেশেও।
দেশজুড়ে তীব্র বেকারত্বের সমস্যা, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, মজুরি হ্রাস, কৃষকদের ফলনের তুলনায় ফসলের ন্যূনতম দাম না পাওয়া, ফড়েদের দাপট-সহ একাধিক সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তার সমাধানে সংসদে আলোচনা হয় না বলে অভিযোগ লাল পার্টির সদস্যদের। তাঁদের আরও দাবি, রাজ্যের সমস্যাও একই। এখানে আর্থিক দুর্নীতি, বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা, শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতার মতো বিষয়গুলি সরাসরি সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্তের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তার বিরোধিতাতেও সুর চড়াবে সিটু, কৃষক, খেতমজুর সভা। ইতিমধ্যে আন্দোলনের রূপরেখাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে নিন্দুকদের প্রশ্ন, যেখানে তীব্র গরমের আগেই ব্রিগেড সমাবেশ ডাকে সিপিএম, এবছর কেন ভরা বৈশাখে আয়োজন করা হল? তাতে আদৌ শূন্যের খরা কাটবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.