Advertisement
Advertisement

Breaking News

Crowd infront of liquor shops

চুলোয় দূরত্ববিধি, আগে সুরা চাই! নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই মদের দোকানে উপচে পড়া ভিড়

অনলাইনে কি মিলবে মদ? উঠছে প্রশ্ন।

Crowd infront of liquor shops in Kolkata after announcing strict restrictions| Sangbad Pratidin

ছবি: পিন্টু প্রধান।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 15, 2021 7:43 pm
  • Updated:May 15, 2021 8:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গানের কথা যেন একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল কলকাতায়। সত্যি বোধহয় ‘বিপিনবাবুর কারণ সুধা, মেটায় জ্বালা মেটায় ক্ষুধা।’ না হলে কি অতিমারীকে উপেক্ষা করে মদের দোকানের সামনে উপচে পড়ে ভিড়! পুলিশের লাঠি খেয়েও নিজেদের ‘স্টকে’ মজুত করে নানান রকমের মদ। এ ছবি অবশ্য নতুন নয়। গতবার লকডাউনের সময়ও লম্বা লাইন পড়েছিল মদের দোকানে (Liquor shops)। কেউ কেউ তো আবার মদের জ্বালা ভুলতে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার খেয়ে বেঘোরে প্রাণও দিয়েছেন। 

শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, ১৬ মে সকাল ৬ থেকে রাজ্যে ‘প্রায় লকডাউন’। জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুতেই তালা ঝুলিয়েছে প্রশাসন। বাদ পড়েনি মদের দোকানও। আর তার পরই সুরাপ্রেমীদের মাথায় হাত। কীভাবে গলা ভেজাবেন তাঁরা? কোথা থেকে আসবে নেশার দ্রব্যের জোগান? 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্য নেতাদের ডাকা বৈঠকে গরহাজির বহু পরাজিত প্রার্থী, প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে]

দোকানে তালা ঝুলতে আর মোটে কয়েক ঘণ্টা। তাই ঘোষণা হওয়ার পর আর দেরি করতে চাননি সুরাপ্রেমীরা। অতিমারীকে উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক আর পকেটে স্যানিটাইজার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মদের দোকানে। বাবুঘাট থেকে বাগুইআটি, মানিকতলা থেকে মন্দিরবাজার-রাজ্যের সর্বত্রই ছবিটা প্রায় এক। খাস কলকাতায় চাঁদনি চকের সামনের দোকানে ভিড় সামাল দিতে তো রীতিমতো পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। যাতে লাইনে শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হয়। কিন্তু কোথায় কী? পুলিশের চোখ এড়িয়ে লাইনের সাইড থেকে দোকানে ঢোকার চেষ্টা চালান কেউ কেউ। উদ্দেশ্য একটাই, দুটো অতিরিক্ত বোতল যদি পাওয়া যায়। নেশার রসদ না জুটলেও দোকানের নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের লাঠির ঘা জুটেছে অবশ্যই। তাতে অবশ্য সুরাপ্রেমীদের কিছু যায় আসে না, কারণ ওই যে প্রথমেই বলা হয়েছিল, ‘বিপিনবাবুর কারণ সুধা, মেটায় জ্বালা মেটায় ক্ষুধা।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিহারের গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ, জলদূষণ নিয়ে গুজবে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল বেলুড়ে]

কিন্তু দিনের শেষে প্রশ্ন একটাই। গতবার লকডাউনের সময় রাজ্যে অনলাইনে মদ সরবরাহ হত না। কিন্তু এখন সুইগি, জোম্যাটোর মতো একাধিক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা বাড়ি-বাড়ি মদ পৌঁছে দেয়। আর এই কড়া বিধিনিষেধে ছাড় পেয়েছে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাগুলি। তাহলে সেই সূত্র মারফত কি বাড়িতে বসে মিলবে মদ? উত্তর খুঁজছে সকলে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ