Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাজার হাতের হাতছানিতে পঞ্চমীতেই জনপ্লাবন দক্ষিণে

দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যানজট পাকিয়ে সমস্ত রাস্তাই কার্যত অবরুদ্ধ করে তুললেন ‘হাজার হাতের দুর্গা’ একাই৷

Deshapriya Park basked in last year's glory and continued to draw crowds in hordes.
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 7, 2016 10:43 am
  • Updated:October 7, 2016 10:43 am

স্টাফ রিপোর্টার: ‘বড় দুর্গা’-র পর এবার ‘হাজার হাতের দুর্গা’৷

লালবাজারের পরিকল্পনা অনুযায়ী পুজোর ভিড় সামলাতে চতুর্থীর বিকেলেই শহরের পথে নেমেছিলেন পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী৷ বৃহস্পতিবার, মহাপঞ্চমীর বিকেল থেকেও চোদ্দো হাজার পুলিশকর্মী রাস্তায় নেমে যান নিয়ন্ত্রণ করেন৷ কিন্তু যানজট পাকাতে দেশপ্রিয় পার্ক গত বছরের মতো এ বছরেও যেন একাই একশো৷ দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যানজট পাকিয়ে সমস্ত রাস্তাই কার্যত অবরুদ্ধ করে তুললেন ‘হাজার হাতের দুর্গা’ একাই৷

Advertisement

দেশপ্রিয় পার্কের পুজোকে কেন্দ্র করে চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই যানজট ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে৷ গত বছর এই পুজোর ভিড় ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে তৎকালীন নগরপাল সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্হকে ছুটতে হয়েছিল মেট্রোয় চেপে৷ এবারেও চতুর্থীর রাতে যান নিয়ন্ত্রণে দেশপ্রিয় পার্কে যেতে হয় বর্তমান নগরপাল রাজীব কুমারকে৷ গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় উপচে পড়ে দেশপ্রিয় পার্কে৷ পঞ্চমীর বিকেল থেকেই সেই একই চিত্র৷

Advertisement

তারই মাঝে বিকেলে পার্ক সার্কাস চত্বরে বের হয় একটি বিশাল শোভাযাত্রা৷ এই শোভাযাত্রাই যানজট আরও বাড়িয়ে দেয়৷ তার রেশ গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কলকাতার একাংশে৷ তার উপর হাজার হাতের দুর্গা তো রয়েইছেন৷ কিন্তু সন্ধ্যার পর এই যানজট অসামান্য দক্ষতায় ধীরে ধীরে কাটিয়ে তোলেন পুলিশকর্তারা৷ এবার দেশপ্রিয় পার্কের পুজো প্রাঙ্গণে কোনও খাবারের স্টল বসতে না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লালবাজার৷ সেই কারণে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো দেখতে ভিড় বাড়লেও গত বছরের মতো তা জমে ছিল না৷ সেই ভিড় কেটে গিয়েছে ধীরে ধীরে৷ দক্ষিণের মতো মধ্য ও উত্তর কলকাতাতেও যানজট ছিল মহাপঞ্চমীতে৷ তা সত্ত্বেও সেই জট দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন পুলিশকর্তারা৷

কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে অন্তত দু’লক্ষ পুলিশ কর্মী দুর্গাপুজোর ক’টা দিন রাস্তায় নেমে নিরাপত্তা দেখভাল করবেন৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে এভাবেই সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্হ৷ পাশাপাশি তিনি আবেদন করেছেন, নাশকতা নিয়ে কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না৷ রাজ্যে অন্তত ২২ হাজার পুজো হচ্ছে৷ কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার বলেন, “কলকাতায় মোট পুজোর সংখ্যা প্রায় চার হাজার৷ শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তত ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী যুক্ত থাকবেন৷ এ ছাড়াও এনসিসি ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর প্রায় ছ হাজার কর্মী পুলিশকে সাহায্য করবেন৷”

পঞ্চমীর দুপুর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে প্রতিমা-মণ্ডপ দর্শনে বেরিয়ে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ৷ এতটা ভিড় আশা করা যায়নি৷ চতুর্থীর দিনও ব্যাপকহারে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন মানুষ৷ রাজীব কুমারের ব্যাখ্যা, বুধবার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস খোলা ছিল৷ খোলা ছিল স্কুল-কলেজও৷ একইভাবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অফিস খোলা রয়েছে৷ বহু স্কুল-কলেজ খোলা ছিল৷ ফলে সাধারণ দিনের মতোই স্বাভাবিক ট্রাফিক ছিল রাস্তায়৷ এর পাশাপাশি দুর্গাপুজো দেখতে বেরিয়ে পড়া মানুষের চাপ ছিল৷ এই দুয়ের ফলেই যানজট হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ