সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর শুরু থেকেই আলোচনার সামনের সারিতে ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার বা লেবুতলা পার্ক। থিমের পুজোয় অনেক কিছুই দেখেছে শহর। কিন্তু মায়ের পরনে আস্ত সোনার শাড়ি আগে কখনও দেখেনি। পুজো তো ফুরোল। কিন্তু এবার এই শাড়ি পরিহিতা প্রতিমার বিসর্জন কীভাবে হবে? তা নিয়েই ছড়াচ্ছে জল্পনা।
[ পংক্তিভোজে ব্রাত্য পরিচারিকা, প্রতিবাদের ডাক নেটদুনিয়ায় ]
শহরকে চমকে দেওয়ার মতো থিম করেছিলেন উদ্যোক্তারা। সত্যি এর আগে কখনও প্রতিমার পরনে সোনার শাড়ি ওঠেনি। প্রায় ২০ কেজি সোনার ব্যবহারে তৈরি হয়েছিল এ শাড়ি। খরচ পড়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের নকশায় তৈরি হয়েছে শাড়ি। যার উদ্যোগ নিয়েছিলেন শহরের প্রখ্যাত এক স্বর্ণবিপণি। ভিড় ভেঙে পড়বে এরকম একটা আশঙ্কা ছিলই। প্রত্যাশামতো জনসমাগমও হয়। পুজোর মধ্যেই খানিকটা বিপাকে পড়েন উদ্যোক্তারা। শর্ট শার্কিটের আশঙ্কায় সাময়িকভাবে পুজো বন্ধ হয়েছিল। পরে তা চালুও হয়। প্রাণভরে প্রতিমা দর্শন করেন সকলে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এবার বিসর্জন হবে কী করে? সাধারণত পরিধানের পোশাক সমেত প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু এত টাকার সোনার শাড়ি জলে দেওয়া অসম্ভব। আবার পোশাক খুলে নেওয়ায় শোভা পায় না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বিসর্জন হবে? সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে নানা প্রশ্নের ছড়াছড়ি। জবাবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানালেন, “এ নিয়ে জল্পনার কোনও অবকাশই নেই। যে সংস্থা এই সোনার শাড়ি তৈরি করেছে, তাদের এটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পাড়ার মহিলারা মাকে নতুন শাড়িতে, নতুন সাজে সাজিয়ে তুলবেন। তারপরই বিধিসম্মতভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।” মঙ্গলবার শহরের সাড়া জাগানো এই প্রতিমার বিসর্জন হবে বলেই জানালেন সজলবাবু।
[ মহরমের তাজিয়া বের করে সম্প্রীতির নজির এই হিন্দু পরিবারের ]