Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিলীপের সমালোচনায় রাজ্য

‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজনৈতিক আখড়া’, সহ-উপাচার্য নিয়োগ বিতর্ক উসকে মন্তব্য দিলীপের

আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা রাজ্য বিজেপি সভাপতির।

Dilip Ghosh describes educational institutions as 'political places' to attack state govt.
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 4, 2020 7:38 pm
  • Updated:June 4, 2020 7:42 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এবার রাজ্যের শাসকদল ও শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণের নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতেও বিতর্ক বেঁধেছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আক্রমণের পথে হাঁটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিক্ষা দপ্তরকে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। খরচ করতে না পারায় অনেক টাকা ফেরত যাচ্ছে।

এ নিয়ে তিনি একটি হিসেব প্রকাশ করে জানান, রাজ্যের ৪০৩৪টি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য ৩৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দিলীপবাবুর অভিযোগ, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার পরিবেশ নেই। উলটে বিভিন্ন কোর্সে ভরতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ‘রাজনৈতিক আখড়া’ বানিয়ে, ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে, এই মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুপুরেই আকাশ কালো করে মেঘ, বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন মালদহের ৩ জন]

শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি রাজ্য সভাপতির আরও অভিযোগ, রাজ্যে একশো দিনের কাজের টাকা লুঠ হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে। তাঁর কথায়, ”একশো দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশ টাকা নেতারা পাচ্ছে। বাকি অর্ধেক পাচ্ছে, যারা কাজ করছে।” তৃণমূলকে এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, কী উন্নয়ন হয়েছে আর কেন্দ্র কী অসহযোগিতা করেছে, তা মানুষের কাছে গিয়ে বলুক। এছাড়া আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ”ক্ষতি পূরণে যে অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়েছে, সেটা তৃণমূলের ক্যাডার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে না চলে যায়।” আমফান পরিস্থিতি পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় সরকারের যে দল আসছে, তাদের সহযোগিতা করলে রাজ্যেরই লাভ বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ১০০ দিনের কাজের টাকা! বড়সড় দুর্নীতি মুর্শিদাবাদে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ