Advertisement
Advertisement

Breaking News

বনধ ডেকে কি তবে রাজ্যে আরও ব্যাকফুটে বামেরা!

বনধের এই বিফল চিত্র বামেদের কি আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিল না, এ প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে৷

 Do Left Front showcase their weakness in This Strike?

ছবি-অরিজিৎ সাহা

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 28, 2016 12:18 pm
  • Updated:November 28, 2016 12:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনধ কি হচ্ছে- ইতিউতি ঘুরছিল প্রশ্নটা৷ শেষমেশ তাও উবে গেল৷ বনধ ঘোষিত বটে৷ কিন্তু তার কোনও ছাপ নেই কোথাও৷ ঠিক যেমনটি অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেও তুলতে পারছেন না মানুষ৷

এ যেন আশ্চর্য এক পরিহাস! বিরোধীরা রণংদেহী৷ কিন্তু মানুষ দারুণরকম শান্ত৷ যত ভোগান্তিই হোক মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে এখনও সমর্থন জানিয়ে চলেছেন সাধারণ মানুষ৷ তাতে দেশের অর্থনীতির কী হবে না হবে, সে প্রশ্ন বৃথা৷ তবে চোখের সামনে যে সব কালোবাজারি বেলুনকে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখেছিল আমজনতা, আর গোপনে হাত কামড়েছিল, তাদের চুপসে যেতে দেখেই বেজায় খুশি মানুষ৷ রাস্তায় যেতে যেতে কোনও অটোচালক যখন পাড়ার বাড়ির দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে বলেন, ‘এই বাড়ির ডাক্তার ১১০০ টাকা করে ফি নিত, এবার বুঝবে মজা৷’- তখন মালুম হয় আক্রোশটা আসলে কোথায়! অর্থনীতির তত্ত্বের কাছে তা ততটা প্রাসঙ্গিক না হতে পারে, কিন্তু সাধারণের আবেগের ঠিক এই জায়গাটাতেই ছুঁতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ ফলত এ রাজ্যে খোদ শাসকদলের বিরোধিতাকেই যখন পাত্তা দিচ্ছে না একশ্রেণির মানুষ, তখন বামেদের বনধ নিছক রসিকতা হয়েই থাকল৷ অন্তত সকাল থেকে মানুষ যেন তাই প্রমাণ করছেন৷

Advertisement

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও, গোড়া থেকেই শাসকদল বনধ বিরোধী৷ নোট বাতিলে একসময় সিপিএমকেও দিল্লিতে পাশে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু যাব কি যাব না ভেবে ভেবে সেদিন সাড়া দিতে পারেননি ইয়েচুরিরা৷ ফলত ইস্যু এক হলেও এ রাজ্যে বনধে শাসকদল বিরোধিতা করবে তা বলাই বাহুল্য৷ হচ্ছেও তাই৷ এদিকে সহযোগী দল কংগ্রেসও আমরা বনধ ডাকিনি বলে ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে চলে গিয়েছে৷ ফলত পড়ে থাকল বামেদের একার শক্তি৷ এই উপনির্বাচনেও যা তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ ফলত বনধ ডেকে নিজেদের হীনশক্তিই কি হাটখোলা করে দিল বামেরা? রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, মানুষ যখন চাইছে না, তখন এ বনধ না ডাকলেও পারত বামেরা৷

Advertisement

সাধারণ মানুষ মোদির সিদ্ধান্তের এতটাই সমর্থক যে, কোনও বনধকেই সফল হতে হয়ত দিত না৷ একই সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও বনধ থেকে পিছিয়ে এসেছে৷ প্রস্তাবিত ভারত বনধ শেষমেশ আঞ্চলিক প্রতিবাদ মিছিলে দাঁড়িয়ে গিয়েছে৷ সেখানে আরও একটা বনধ বাহুল্য মাত্র৷ সকাল থেকেই সচল শহর ও রাজ্য৷ যানবাহন থেকে অফিস কাঁচারি কোথাও কোনও আলস্য নেই৷ সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মোদির পাশে দাঁড়াচ্ছেন৷ বনধের এই বিফল চিত্র বামেদের কি আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিল না, এ প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ