প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন রিল থেকে রিয়েল লাইফের গল্প।
হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা চাঁদা তুলে কৃত্রিম অঙ্গ কিনে অস্ত্রোপচার করে বসিয়ে দিলেন রোগীর শরীরে। রোগী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। ঠিক এই সময়ে সরকারি হাসপাতালের মুষ্টিমেয় চিকিৎসককে নিয়ে লাগাতার অভিযোগ। সেই সময়ে এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্বাস্থ্যকর্তারা।
প্রায় ৭০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভরতি এক রোগিণীর ডান পায়ের অর্ধেক হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হল। পুরো খরচ বহন করেছেন হাসপাতালের অস্থি শল্য বিভাগের জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তারবাবুরা। ঘটনা হল এর আগে গোটা হাঁটু অপারেশন করে বাদ দিয়ে কৃত্রিম হাঁটু প্রতিস্থাপন হয়েছে। কিন্তু অর্ধেক হাঁটু প্রতিস্থাপন এই প্রথম।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বাসিন্দা বছর ৫০-এর সারিকা বিবি (নাম পরিবর্তন) এস এস কে এম হাসপাতালের অস্থি শল্য বিভাগের আউটডোরে দেখাতে আসেন। তার হাঁটতে কষ্ট হত। এক পা ফেললেই ‘বাবা রে, মা রে’ চিৎকার করতেন। হাঁটুতে মারাত্মক ব্যথা। সব দেখেশুনে বিভাগীয় চিকিৎসক বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে দিলেন। পরীক্ষার ফল দেখে ঠিক হল ডান হাঁটুর আংশিক বদল করতে হবে। কিন্তু এসএসকেএম-সহ যে কোনওও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা যেমন সেরা তেমনই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র পেতেও সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই আংশিক কৃত্রিম হাঁটুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখা হল। কিন্তু সময়ের মধ্যে কৃত্রিম হাঁটু এল না। তবে অস্থি শল্য বিভাগের ডাক্তার অধ্যাপকরা দমবার পাত্র নন।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.মুকুল ভট্টাচার্যর সঙ্গে তাঁর সহকর্মী চিকিৎসকরা আলোচনা করে ঠিক করেন চাঁদা তুলেই কৃত্রিম আংশিক হাঁটু নির্দিষ্ট উৎপাদক সংস্থা থেকে কেনা হবে। সেই অনুযায়ী মুকুল ভট্টাচার্য সহ ডা. দিব্যেন্দু বিশ্বাস ,ডা. সুপ্রিয় সরকার ,ডা. অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,ডা.দেবজ্যোতি সরকার এগিয়ে আসেন। তাঁদের আর্থিক অনুদান কেনা হয় টাইটেনিয়ামের কৃত্রিম হাঁটু। গত ২ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার করে অর্ধেক বাদ দিয়ে নতুন হাঁটু বসানো হল। এস এস কে এম সূত্রে খবর, সারিকা বিবি ভালো আছেন। দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে তাঁকে ছুটি দেওয়া হ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.